২০২১ সালে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যাচ্ছে বাংলাদেশ!

সাবমেরিন ক্যাবল (ছবি- অনলাইন থেকে নেওয়া)

২০২১ সালে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সরকার সাবমেরিন ক্যাবল বিষয়ক কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হতে সম্মতি জানিয়েছে। এখন থেকে ২-৩ বছরের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য  জানা গেছে। 

জানতে চাইলে ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সি-মি-উই-৬ কনসোর্টিয়াম গঠন হচ্ছে। বাংলাদেশ ওই কনসোর্টিয়ামে থাকবে কিনা, আমাদের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমরা সম্মতি জানিয়েছি। এখন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ২-৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সি-মি-উই-৬ থেকে ব্যান্ডউইথ পাবে।’ বর্তমানে প্রায় এক হাজার জিবিপিএস (গিগা বিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ দেশে ব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্ধিত চাহিদা মেটাতে আমাদের আগাম চিন্তা করতেই হবে।’

এখনই স্বতন্ত্র কোনও সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কোনও পরিকল্পনা নেই জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটা খুবই ব্যয়বহুল। তাছাড়া, আমাদেরকে সিঙ্গাপুর বা মিয়ানমারের কোনও জায়গা পর্যন্ত নিজেদের ক্যাবল টেনে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। ফলে কোনও জটিলতায় না গিয়ে কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হওয়াটাই লাভজনক।’

বর্তমান সরকারের ’৯৬ মেয়াদে স্বতন্ত্রভাবে সামমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার একটা প্রস্তাব বাংলাদেশ পেয়েছিল। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল— সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ক্যাবল টেনে নিয়ে তাতে যুক্ত হতে হবে। জানা গেছে, প্রকল্পটি ব্যয়বহুল হওয়ায় সেই প্রস্তাবে তখন সায় দেয়নি বাংলাদেশ। এদিকে, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি মিয়ানমার পর্যন্ত ক্যাবল টেনে বাংলাদেশকে পৃথক আরেকটি সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিলেও অবস্থান এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ওই প্রস্তাবেও সাড়া দেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 
মন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু সরকার নয়, কোনও বেসরকারি উদ্যোক্তা যদি ব্যক্তিগতভাবে সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চান, তাহলে স্বাগত জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সাবমেরিন ক্যাবলের বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেবো। সরকার একা কেন সব কাজ করবে।’ বেসরকারিভাবেও এসব কাজ হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয় সি-মি-উই-৪ (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আগ্রহীদের মিলিত কনসোর্টিয়াম।) ও দ্বিতীয়টি সি-মি-উই-৫। ২০২১ সালে দেশে চালু হবে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক তথা ৫জি। সে সময়ের প্রয়োজন মেটাতে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।