‘টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জে’ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভ

টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ‘হ্যাশট্যাগ টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ’ একটি ফান বা মজার বিষয় ছিল। কিন্তু একজন প্রযুক্তি বিশ্লেষকের একটি টুইট পুরো চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এখন টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জকে অনেকে নিরাপত্তার হুমকি হিসেবেও দেখছেন।  মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই প্রযুক্তি বিশ্লেষকের টুইট ছিল এরকম- আমরা কি না জেনেই বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যালগরিদম, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে উন্নত করছি?
টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারীকে দুটি ছবি একসঙ্গে পোস্ট করতে হয়। এর একটি বর্তমানের এবং অন্যটি ১০ বছর আগের। এতে ১০ বছর আগের তুলনায় একজন ব্যক্তির কী পরিবর্তন হয় তা বোঝা যায়। আর এ বিষয়টিকেই হুমকি হিসেবে দেখছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
আপনার ১০ বছর আগের ছবি এবং বর্তমানের ছবি একসঙ্গে পোস্ট করলে ওই দুটি ছবি বিশ্লেষণ করে আপনার সম্পর্কিত অনেক তথ্যই পেতে পারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনার মধ্যে কেমন পরিবর্তন আসে এটা খুব সহজেই বুঝতে পারবে তারা।
এছাড়া আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশ নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আরও উন্নত হতে পারে। বিশেষ করে ফেস রিকগনেশন প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি হতে পারে এর মাধ্যমে।
এতে মানুষ তাদের পুরনো ও নতুন ছবি একসঙ্গে পোস্ট করায় সেগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরি করতে পারে যেকোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আরও শক্তিশালী হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, ১০ বছরে দুটি ছবির পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ১০ বছরে আপনার মধ্যে কী পরিবর্তন আসবে তার একটি পূর্বাভাস হয়তো দিতে পারবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে আপনার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তাই টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো ভেবে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এতে অংশ নেয়াকে অনেকটা ‘বোকামি’ হিসেবেই দেখছেন তারা।