ইন্টারনেটে ‘কনটেন্ট ফিল্টারিং’ শুরু হতে পারে মার্চে

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট চাইআগামী মার্চ মাসে কনটেন্ট ফিল্টারিং প্রযুক্তি চালু করা হতে পারে। ইতিমধ্যে এই সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। এটি চালু হলে পর্নোসহ বিপদগামী অনেক সাইট বন্ধ করে শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ খারাপ কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদেরকে ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য। আগামী মার্চ মাস নাগাদ এই কাজ শুরু হতে পারে। ’ তিনি বলেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ডিজিটাল হতে হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

মন্ত্রী মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজারে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এটিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুদের কাছে আমরা কী কনটেন্ট দিচ্ছি। শিশু উপযোগী কনটেন্ট আমরা ইন্টারনেটে রাখিই না। শিশু পছন্দ করে এমন কনটেন্ট দরকার।’

তিনি জানান, সরকারের এখনকার চেষ্টা হচ্ছে শিশুসহ নাগরিকদের খারাপ কনটেন্ট থেকে রক্ষা করা। আবার খারাপ কনটেন্টগুলোর উৎপত্তিস্থল কিন্তু বাংলাদেশ নয়। সেজন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যারা কনটেন্টগুলো দুনিয়া ব্যাপী ছড়াচ্ছেন তারা তাদের নিজেদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন না। তবে এক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের আইন পরিপন্থি অনেক বিষয়ের প্রতি তারা সম্মান দেখাতে সম্মত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত ১০ বছর আগেও ছিল মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে তা প্রায় ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এটাও সরকারের বিশাল এক অর্জন।