গ্রামীণফোনকে ‘এসএমপি’ ঘোষণা, করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা পরে





গ্রামীণফোনমোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনকে পাঠানো এক চিঠিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে অপারেটরটির করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা পরে জানানো হবে বলে বিটিআরসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বিটিআরসির চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে বিটিআরসি ‘এসএমপি নীতিমালা-২০১৮’ প্রকাশ করে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব আয় বা তরঙ্গ (স্পেক্ট্রাম)-এর একটিতে কোনও অপারেটরের ৪০ শতাংশের বেশি দখলে থাকলে সেটিকে ‘এসএমপি অপারেটর’ হিসেবে ঘোষণা দিতে পারবে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে।
জানা গেছে, গ্রাহক হিসেবে বর্তমানে গ্রামীণফোনের দখলে রয়েছে ৪৭ ভাগ বাজার এবং রাজস্ব আয়ে রয়েছে ৫০ ভাগ মার্কেট শেয়ার।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘এখন আমরা চিঠিটি দেখে করণীয় ঠিক করবো।’ তিনি জানান, এসএমপি রেগুলেশনের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন আর্ন্তজাতিক ও টেলিযোগাযোগ খাতের সর্বোচ্চ মানসম্মত নিয়মগুলো বিবেচিত হবে বলে প্রত্যাশা করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সবার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।