এই প্রতিযোগিতা তথ্যপ্রযুক্তিতে মেধাবীদের খুঁজে বের করবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মোস্তাফা জব্বারহুয়াওয়ে বাংলাদেশে তাদের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’ শুরু করেছে। রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী ঝাং জেংজুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে আইসিটিতে প্রতিভা তৈরি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী বাছাই করবে। আগামী দুই মাস এই বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। পরবর্তীতে এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা চীনে অবস্থিত হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার  বলেন, ‘যখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বদরবারে ভাল কিছু করে, আমাদের বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। বিগত বছরগুলোয় হুয়াওয়ে তাদের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণদের মাঝে জ্ঞানের ক্ষুধা তৈরির এই কাজটি করে আসছে। এটা তরুণদের ভবিষ্যতে আরও নতুন সব উদ্ভাবনে উদ্বুদ্ধ করবে। এই প্রতিযোগিতা তথ্যপ্রযুক্তিতে মেধাবীদের খুঁজে বের করবে।’
হুয়াওয়ের টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝাং জেংজুন বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে এক ঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণ। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, এই তরুণরাই ডিজিটাল উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্যবিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য হুয়াওয়ের দক্ষ টিম প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের নির্বাচকদের সঙ্গে নিয়ে দু’জন করে সেরা শিক্ষার্থী বাছাই করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী সিডস ফর দ্য ফিউচারের কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্বের ১০৮টি দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্য থেকে ৩ হাজার ৬০০ জনকে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।