মানসম্মত সেবার পরীক্ষা

কলড্রপে ‘মান’ ধরে রাখতে পারেনি গ্রামীণফোন


গ্রামীণ ফোন
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্ট’র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মানসম্মত সেবা দেওয়ার পরীক্ষায় কলড্রপে ‘মান’ ধরে রাখতে পারেনি গ্রামীণফোন। সম্প্রতি ঢাকায় এই পরীক্ষা চালায় কমিশন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গ্রামীণফোনের কলড্রপের হার তিন দশমিক ৩৮ শতাংশ। যা কলড্রপের সর্বোচ্চ সীমা বা মান দুই শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। আর এই পরীক্ষার মানে রবির অবস্থান এক দশমিক ৩৫, বাংলালিংকের শূন্য দশমিক ৫৮ এবং টেলিটকের এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিটিআরসির নির্দেশনা রয়েছে, প্রতিদিন একজন গ্রাহকের একটির বেশি কলড্রপ হলে প্রতিটিতে এক মিনিট করে করে কল মিনিট ফেরত দিতে হবে।
অন্যদিকে, ফোরজির গতির পরীক্ষায় (ডাউনলোডে) ব্যর্থ হয়েছে তিন অপারেটর। ড্রাইভ টেস্টের ফলে দেখা গেছে, গ্রামীণফোনের ডাউনলোড গতি পাঁচ দশমিক ৪৪, রবির পাঁচ দশমিক ৯১ ও বাংলালিংকের পাঁচ দশমিক ১৮ এমবিপিএস (মেগা বিটস পার সেকেন্ড)। যেখানে আদর্শমান ৭ এমবিপিএস। অন্যদিকে, আপলোড গতি গ্রামীণফোনের দুই দশমিক ৫৫, দুই দশমিক ৫০ ও বাংলালিংকের  দুই দশমিক ৩৩ এমবিপিএস।  

পরীক্ষার ফল
জানা যায়, কোয়ালিটি অব সার্ভিস নীতিমালা অনুযায়ী অপারেটরগুলোর বিভিন্ন সেবার মান মূল্যায়ন করে র‌্যাংকিং করা হবে। ড্রাইভ টেস্টের ফল বিবেচনা করে র‌্যাংকিং করা হয়। অন্যদিকে, অপারেটরগুলোর সেবার মানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সীমাও বেঁধে দেওয়া রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অপারেটরগুলো সেবা দিতে না পারলে ব্যর্থ অপারেটরকে জরিমানা করতে পারবে বিটিআরসি।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির ভাষ্য হলো, কমিশন মোবাইল ফোনের সেবার মানের বিষয়ে তার প্রতিশ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস রেগুলেশন’ অনুযায়ী ইতোমধ্যে সেবা দেওয়ার জন্য অপারেটরগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেবার মানের বিষয়ে কমিশনের নির্দেশনা অমান্যেরও কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জরিমানা ও শাস্তির বিধানকে উপেক্ষা করা যায় না।