‘সামহোয়ারইনব্লগ’ বন্ধের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি

াাসম্প্রতি বিটিআরসির কর্তৃক কমিউনিটি ব্লগ ‘সামহোয়ারইনব্লগ’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ব্লগটির সঙ্গে যুক্ত ৩৩ জন লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, গবেষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে সামহোয়ারইনব্লগের অবদানকে স্বীকৃতি ও মূল্যায়নের বদলে এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক।  
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অশ্লীলতা ও জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে দেশের ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজিগুলোকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারিতে একটি তালিকা সমেত নির্দেশনা পাঠায় বিটিআরসি। পরিতাপের বিষয়, সেই তালিকায় আছে সামহোয়ারইনব্লগের নাম। লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর এই সাইটটির বিরুদ্ধে বিআরটিসির এমন সিদ্ধান্তে আমরা স্তম্ভিত, মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন বোধ করছি।

‘বাংলা ভাষার প্রথম কমিউনিটি ব্লগ হিসেবে ২০০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে যাত্রা শুরু করে সামহোয়ারইন। সূচনালগ্ন থেকেই এর অধিকাংশ ব্লগাররা তৎকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের অবস্থানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদমুখর পোস্ট প্রকাশ করতে থাকে যা সে সময়ে যেকোনও গণমাধ্যমে লেখা বা প্রকাশ করা অসম্ভব ছিলো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচিও এই সময়ে পরিচালনা করে এর ব্লগাররা।

‘বাংলা ভাষাকে ইন্টারনেটে জনপ্রিয়করণের ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মটির অবদান অতুলনীয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অগনিত অনলাইন লেখকের জন্ম দিয়েছে এই ব্লগ। বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত আছেন এক লাখেরও বেশি লেখক ও পাঠক।  নতুন লেখকদের সাহিত্যকর্ম, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও যুক্তিচর্চার পরিবেশ ও প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে সামহোয়্যারইন ব্লগ।

‘সামহোয়ারইনব্লগের অবদানকে যেখানে স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন জানানো দরকার, সেখানে বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষা-ভাষীদের কাছে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটিকে কেনো অশ্লীল হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইন সাইটগুলোকে আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে এটিই প্রত্যাশিত।'