এক ঠিকানায় সরকারের সব ডিজিটাল সেবা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক২০২১ সালের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল সরকার বাস্তবায়নে ২ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেবা একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে নাগরিকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিতে ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এটুআই-এর সম্মেলন কক্ষে সরকারি দপ্তরগুলোর প্রতিনিধি ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ঠিকানায় সব ডিজিটাল সেবা ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এটুআই-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরফে এলাহী ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কানেক্টেড গভর্নমেন্ট’-এর ধারণা মাথায় নিয়েই ‘একসেবা-সরকার’ তৈরি করা হয়েছে যেটা সরকার ও নাগরিককে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করতে এবং সেবা পেতে সহায়তা করবে। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল সলিউশন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে মানসম্মত, কার্যক্ষম ও টেকসই সলিউশন তৈরিতে সহায়তার পাশাপাশি সরকারের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনকে ত্বরান্বিত করবে।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সংস্কার অনুবিভাগ) সোলতান আহ্‌মদ। সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় এটুআই এই একক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নাগরিকের সেবাগুলোকে সহজ করার পাশাপাশি সরকারের সেবা প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেবা প্রদানকারীর এই একক প্ল্যাটফর্মটিকেই বলা হচ্ছে ‘একসেবা-সরকার’ কাঠামো। জনগণ যাতে সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে প্রযুক্তির সহয়তায় কোনও ঝামেলা ছাড়াই সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারে। অসংখ্য ডিজিটাল সেবার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার সহজ করতে এই একক কাঠামো তৈরি হচ্ছে। যেখানে একজন কর্মকর্তা একটি ঠিকানা থেকে তার জন্য প্রযোজ্য সেবায় প্রবেশ করতে পারবেন ও সেবা দিতে পারবেন। একইভাবে একজন নাগরিক একটি একক ঠিকানায় গিয়ে তার জন্য প্রযোজ্য সব সেবা নিতে পারবেন।