তরুণরা চাকরি খুঁজবে না, দেবে: পলক

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলছেন জুনাইদ আহমেদ পলকতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘তরুণরা চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে। ‘আমরা তরুণদের হাতে একদিনের খাবার তুলে দিতে চাই না। সারাজীবনের খাবার তুলে দিতে চাই।’
আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অন্ট্রপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে চলা স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চ্যাপ্টার ওয়ান- এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি কাউকে একটি মাছ কিনে দিলে একদিনের খাবার তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে মাছ ধরা শিখিয়ে দিলে সারা জীবনের খাবার তুলে দেওয়া হবে। আমরাও সেভাবে কাজটি করতে চাচ্ছি।’
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া প্রকল্প মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক ।
পলক বলেন, ‘আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১ সাল নাগাদ ১ হাজারের বেশি স্টার্টআপ চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেক আইডিয়া থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করার পর অধিকাংশ সময় তা আর বাস্তবায়ন হয় না। সে কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমাদের এই আয়োজন। প্রথম পর্বে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজন করা হলেও পর্যায়ক্রমে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।’

আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘যেসব স্টার্টআপ’র প্রডাক্ট ভ্যালু আছে, তাদের জন্য কোটি টাকা সিডি মানি দিয়ে বিনিয়োগ করতে তৈরি আছে স্টার্ট আপ বাংলাদেশ লিমিটেড।’

উল্লেখ্য, দেশের আট বিভাগের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর কার্যক্রম। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধন করে আবেদন করতে পারবেন। সেখানে ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরদের সহায়তায় পরিচালিত প্রতিযোগিতা থেকে গড়ে ৩টি দল বাছাই করা হবে। ৪০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ১২০টি দল নিয়ে প্রথমবারের মত ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হবে সাভারে। সেখান থেকে দর্শক ভোট এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার ৩০ স্টার্টআপ। আইডিয়া প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্য বিচারকের সাহায্যে ১০ স্টার্টআপকে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজয়ী দলগুলো নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ও পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা পাবে আইডিয়া প্রজেক্ট থেকে।