প্রয়োজনে ইন্টারনেটে ভর্তুকি দেওয়া হবে: মোস্তাফা জব্বার




৪৪৪৪৪সরকার অনেক খাতেই ভর্তুকি দেয়। ইন্টারনেটের দাম কমাতে প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে। এতে করে যে পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে তার চেয়ে যদি রিটার্ন বেশি পাওয়া যায় তাহলে তা-ই করা হবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল সার্ভিস প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কম দামে গ্রাহকের হাতে ইন্টারনেট পৌঁছানো আমাদের প্রথম এজেন্ডা। ইন্টারনেট সেবাদাতারা আমাদের জানাবেন, সরকার কী উদ্যোগ নিলে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো সম্ভব।’
এ সময় গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ব্যান্ডউইথ পরিসঞ্চালন খরচ বেশি। এই খরচ কমানো হলে বা মূল্য বেঁধে দেওয়া হলে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নেবো। যদি দেখা যায়, কোনও কিছু করা যাচ্ছে না, তখন আমরা ভর্তুকির বিষয়টি ভাববো।’ ইন্টারনেটের মান নিশ্চিতে কোনও ধরনের অজুহাত শুনবেন না বলেও জানান তিনি।
মোস্তাফা জব্বার সতর্ক করে বলেন, ‘ইন্টারনেটের মান নিশ্চিতে যদি বাড়তি কোনও খরচ হয় তাহলে সেই খরচের ভার কোনও অবস্থাতেই গ্রাহকের ওপর ফেলা যাবে না। গ্রাহকের খরচ যাতে কোনও অবস্থাতেই না বাড়ে বিষয়টি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনে আছে তিনটি কাজ। গ্রামে শহরের সেবা পৌঁছতে হবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে। দ্বিতীয়ত, সারাদেশে এক রেটে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের দূরের একটি জেলা বা উপজেলার গ্রাহক যেন ঢাকার দামেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, ২০২১-২৩ সালের মধ্যে আমাদের ৫-জিতে যেতেই হবে। এজন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলার সঙ্গে জড়িতদের একে অপরকে দোষারোপ না করে আলোচনায় বসে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। প্রয়োজনে তিনি এ বিষয়ে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কলড্রপ ১ শতাংশ হলো নাকি ২ শতাংশ— এটা গ্রাহক দেখবে না। কারণ, গ্রাহকের তো ক্ষতি হলো শতভাগ। এই বিষয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে। গ্রাহককে কোনোভাবেই খারাপ সেবা দেওয়া যাবে না।’
টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজল গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন। বৈঠকের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের উপ-প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবীর, আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম, ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মইনুল হক, সামিট কমিউনিউকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম প্রমুখ।