শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার নির্মাতাদের জন্য নীতিমালা তৈরির আহ্বান

সেমিনার শেষের আয়োজনডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সহযোগী হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে বেসিস সদস্যভুক্ত ৩৫টি প্রতিষ্ঠান। বেসিস সফটএক্সপোর শেষ দিনে ‘বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিজিটাল এডুকেশন’ এর আয়োজনে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেওয়ার নানা সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।

বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল করতে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড বা নীতিমালা নেই। এ ছাড়া সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কোনও তালিকাও নেই। ফলে এ খাতে প্রতারণার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সেবা দেওয়ায় সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে।

সেমিনারে ‘এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট’ সফটওয়্যারের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ ও সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির প্রস্তাব করা হয়। বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার কথাও বলা হয়। এতে সফটওয়্যার খাতে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত হবে। এসডিজি ৪ -এর (মানসম্পন্ন শিক্ষা) পূরণে বেসিস ডিজিটাল এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটি সরকারের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেতে চায় বলে সেমিনারে উল্লেখ করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগ) আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। সেমিনারে বক্তব্য দেন টেকনোগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম, কপোটরনিক ইনফোসিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল ইসলাম চৌধুরী, নেটিজেনের প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল, স্টিম সফট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী শাহ জালাল সোহেল, এডি সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব রাব্বানি প্রমুখ।