বিপিও সামিটে চাকরি প্রত্যাশীদের ভীড়

চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছেরাজধানীর সোনাওগাঁও হোটেলের তিতাস রুমের সামনে দীর্ঘ লাইন। সবার হাতে তাদের ‘সিভি’। নাম নিবন্ধন করে একে একে তিতাস রুমে প্রবেশ করছেন। এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতেই চমকে যেতে হয়। ৭টি টেবিলে চাকরি প্রত্যাশী তরুণদের ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি টেবিলে তিনজন করে চাকরি প্রত্যাশী ইন্টারভিউ দিচ্ছে। তেমনি একজন খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পাশ করা শেখ মাসুদ রানা। থাকেন কলাবাগানে। একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করে নিজের খরচ যোগাচ্ছেন। চাকরির পাশাপাশি মাসুদ রানা নিজেকে তৈরি করছেন চাকরির বাজারের জন্য। আগেই জেনেছেন বিপিও সম্মেলন সম্পর্কে। জেনেছেন দু’দিনের সম্মেলন থেকে অন্তত ৮০০ জনকে চাকরি দেওয়া হবে এই খাতে। তাই ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন।

সোনাওগাঁও হোটেলের অনুষ্ঠিত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’ -এর শেষ দিনে তিতাস রুমে আয়োজন করা হয় ‘অন জব স্পট ইন্টারভিউ’। এতে হাজারের বেশি চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেন।

সামিটের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনার’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হয় ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমার্জিং রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। ব্যালকনি হলে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘হেলথ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামের সেমিনার। সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’ বিষয়ক সেমিনার।

সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত বিপিও সামিট।

সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।