প্রতিবন্ধীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরির মেলা

চাকরি মেলার উদ্বোধন পর্বডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলে আলাদা কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই মানুষ। সবারই কম বেশি দুর্বলতা থাকে। কখনও শারিরিক কখনও বা মানসিক বিষয়ক। তিনি বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময় অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানবজাতি যখন কৃষি যুগে বাস করতো, এমনকি শিল্প যুগে প্রবেশ করেছিল- তখন পর্যন্ত যে প্রযুক্তি কিংবা যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছিল সেগুলো ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদেরকে যে সহায়তা করতে পারতো এখন তার চেয়ে হাজারো বেশি প্রযুক্তি বিরাজমান।

মন্ত্রী বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ‘সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজ্যাবিলিটি’র সহযোগিতায় আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকুরী মেলা ২০১৯’ -এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বলে কিছু থাকবে না। প্রযুক্তি সে জায়গাটা সহজলভ্য করবে। প্রযুক্তি মানুষের জন্য, মানুষ প্রযুক্তির জন্য নয়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য ২০১৩ সালে প্রথম প্রতিবন্ধী অধিকার আইন পাশ করেছেন। এর ফলে আমরা তাদেরকে অধিকার প্রদান করি। এছাড়া ইতিমধ্যে ৩ হাজার প্রতিবন্ধীকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যার মধ্যে দেড় হাজার জনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রায় শেষের দিকে।’ এছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সেন্ট্রাল ডেটাবেজ এবং বিশেষভাবে অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ফিফোটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও বাক্য’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী তানজিরুল বাশার প্রমুখ।

দিনব্যাপী এ মেলায় এফবিসিসিআই, বাক্য, মাই আউটসোর্সিং, কোয়াব, লিডস করপোরেশন, পশমি সোয়েটার লিমিটেডসহ মোট ২১টি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজিত চাকরি মেলায় ২০১৫ সালে ৩২, ২০১৬ সালে ৬০, ২০১৭ সালে ১১৫ এবং ২০১৮ সালে ১৭৬ জন চাকরি দেওয়া হয়।