কলরেট বাড়তে পারে গ্রামীণফোনের

গ্রামীণফোন

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের কলরেট (ভয়েস) বাড়তে পারে। এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) ঘোষিত কোম্পানি হিসেবে অনেক ধরনের বিধিনিষেধ ও নতুন নিয়ম আসছে অপারেটরটিতে। কলরেট বাড়ানোও তেমনই একটি উদ্যোগ।

কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কলরেটে ৫ পয়সা বা ১০ পয়সার একটা ঝামেলা আছে। এজন্য কলরেট ৫ পয়সা বাড়তে পারে।’

বিটিআরসি’তে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গ্রামীণফোনের এসএমপি বিষয়টি এজেন্ডায় ছিল। বৈঠকে কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে কমিশন চিঠি দিয়ে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে কলরেট বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে দেবে বলে জানা গেছে।

নতুন নিয়মে গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট হবে ৫০ পয়সা। এর আগে সর্বনিম্ন কলরেট ছিল ৪৫ পয়সা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু কলরেটই নয়, বাড়তে পারে গ্রামীণফোনের আন্তঃসংযোগ কল চার্জও। আন্তঃসংযোগ কল চার্জও বাড়তে পারে ৫ পয়সা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে মোবাইল ফোনে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন (সর্বনিম্ন সীমা) কলরেট ৪৫ পয়সা চালু হয়। বাতিল হয় অফনেট ও অননেট সুবিধা। তবে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকাই বহাল থাকে। এর আগে একই অপারেটরে (অননেট) কলের সর্বনিম্ন সীমা ছিল ২৫ পয়সা আর অন্য অপারেটরে (অফনেট) সর্বনিম্ন সীমা ছিল ৬০ পয়সা।

এসএমপি কোম্পানি ঘোষিত হওয়ায় গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।

জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কলরেটের সর্বনিম্ন সীমা ৪৫ পয়সা হলেও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সারচার্জ ইত্যাদিসহ খরচ পড়ে ৫৪ পয়সা। অন্যদিকে গ্রামীণফোনের গড়ে কল খরচ ৭০ পয়সা। ফলে এমনিতেই কলের খরচ গ্রামীণফোনে বেশিই ছিল। নতুন নিয়মের ফলে অপারেটরটির গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের খরচ আরও বাড়বে।