ভয়েস কলে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার ও স্মার্টফোনে আমদানি ‍শুল্ক কমানোর আহ্বান অ্যামটবের

অ্যামটবের সংবাদ সম্মেলনবাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রয়াসের প্রতিবন্ধকতার বিবেচনায় সরকারেরকে টেলিযোগাযোগখাতে প্রস্তাবিত বাজেট আবারও বিবেচনার আহ্বান জানালো অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারওগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোবাইলে কথা বলার ওপর বাড়তি কর, সিম ট্যাক্স, করপোরেট ট্যাক্স কমানো এবং স্মার্টফোন আমদানির ওপর প্রস্তাবিত বাড়তি শুল্ক কমানোর আহ্বান জানানো হয়।   

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কর প্রস্তাবে রয়েছে- মোবাইল ফোনে সিম ও রিম কার্ডের উপর আরোপিত সম্পূরক শুল্কহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সিম কার্ডের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা, পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর রিটেইনড আর্নিং বা আয়ের সঞ্চিতির ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ, মোবাইল কোম্পানির আয়ের ওপর সর্বনিম্ন শুল্ক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা এবং স্মার্টফোন আমদানিতে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা।

অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) বলেন, এমটবের মহাসচিবের মতে, মোবাইল সেবাখাতে ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে তা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া নতুন সিম কার্ড ও প্রতিস্থাপনের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০০ থেকে ২০০ টাকা করায় নতুন গ্রাহকদের খরচের বোঝা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করবে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিতে স্মার্টফোনের দাম অনেক বেড়ে যাবে। দাম বাড়লে দেশে মোবাইল ব্যবহারের হারও কমে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোবাইল ফোন অপারেটর রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচবি হোসেন সাদাত প্রমুখ।