রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ারে জাতীয় বাজেটের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়গুলো গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ।
সংগঠনটি বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রার বছর ২০১০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ছিল ৫০০ কোটি টাকারও কম। ১০ বছরের ব্যবধানে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা যা এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ ২০ শতাংশ বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে।
বিআইজেএফ মনে করে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এ বরাদ্দ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে এ খাতের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যাচ্ছে ই-বাণিজ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার ও ই-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শীর্ষ মাধ্যম আমদানিকৃত স্মার্টফোনে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বর্ধিত কর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবিকে যৌক্তিক মনে করে ই-বাণিজ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার এবং আমদানিকৃত স্মার্টফোনে শুল্ক আগামী দুই বছরের জন্য ১৫ শতাংশ করা যেতে পারে। এছাড়া ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষায় বাজেটে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউয়ের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির। অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সহসভাপতি নাজনীন নাহার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাছিব রহমান, কোষাধ্যক্ষ এনামুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম রাহাদ ও নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান সোহেল ও রাহিতুল ইসলাম রুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ’র জ্যেষ্ঠ সদস্য পল্লব মোহাইমেন, মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।