অনলাইনেও জমেছিল কোরবানির পশু বিক্রি





অনলাইনে পশুর হাট

অনলাইনেও জমেছিল কোরবানির পশুর হাট। মূলত অনলাইনে কোরবানির পশুর মধ্যে শীর্ষে ছিল গরু ও ছাগল। তবে কী পরিমাণ পশু বিক্রি হয়েছে তার সামগ্রিক চিত্র পাওয়া না গেলেও উদ্যোক্তারা পশু বিক্রির ক্ষেত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 
অনলাইন নির্ভর ই-কমার্স সাইটগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রির তথ্য পাওয়া গেলেও ফেসবুক নির্ভর তথা এফ কমার্সে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশুর কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। ই-ক্যাবের কাছেও এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। 
অনলাইন হাটের মধ্যে রয়েছে— বিক্রয় ডট কম, বেঙ্গলমিট, দারাজ, আমেরিকান ডেইরি, দেশি মিট, প্রিয়শপ, আমার দেশ ও আমার গ্রাম-এর মতো প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মতো অনেক ফেসবুক পেজ থেকেও বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশু।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহায়েদ তমাল বলেন, ‘আমাদের কাছে আসলে কোনও পরিসংখ্যান এখনও নেই। হয়তো ঈদের পরে সঠিক পরিসংখ্যান জানতে পারবো। তবে ক্রেতাদের রেসপন্স ভালো। বিক্রিও ভালো হয়েছে।’ 
বিক্রয় ডটকম সূত্রে জানা গেছে, এবার এই মার্কেট প্লেস থেকে তিন হাজারের বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। ২০১৮ সালে তাদের বিক্রি সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৯৩টি। আর ২০১৭ সালে বিক্রির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৪৪টি। 
বেঙ্গল মিটের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান (হেড অফ রিটেইল সেলস) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এবার অনলাইনে এক হাজার ২০০ গরু বিক্রি করেছি। আর কোরবানির অর্ডার পেয়েছি ৩০০ গরুর। ঈদের দিন কোরবানি শেষে এগুলো প্রসেস করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।’ 
প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খান বলেন, ‘এবারই আমরা প্রথমবারের মতো গরু বিক্রি শুরু করেছি। প্রথমবার হিসেবে রেসপন্স খারাপ না। আমরা চারটি গরু বিক্রি করেছি।’