রোবটটি তৈরি করেছেন ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আশরাফুর রহমান মিনহাজ এবং তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহমুদা আফরিন। টিমটি লিড করেন মিনহাজ। তাদের মেন্টর ছিলেন ওই বিভাগের প্রভাষক মাসুম বকাউল। এটি বাংলাদেশের প্রথম ওপেনসোর্স হিউম্যানয়েড রোবট বলে দাবি করেছেন তারা।
টিম লিডার মিনহাজ বলেন, রোবটের বুকে ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন এলসিডি মনিটর রয়েছে। এর মাধ্যমে একজন ইউজার সহজে রোবটটিকে কমান্ড করে তার কাছ থেকে তথ্য জেনে নিতে পারবে। রোবট মিয়া-ওয়ান মুখে কথা বলার পাশাপাশি তার এলসিডিতে সংশ্লিষ্ট ছবিও প্রদর্শন করে। রোবটটির চোখে অত্যাধুনিক ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি দেখতে পারবে।
টিচিং এবং রিসিপশনের কাজে মিয়া-ওয়ানকে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি।
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাসুম বকাউলের তত্ত্বাবধানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. তোফায়েল আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় রোবটটি বানানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান মিনহাজ। বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবেই রোবটটি তৈরি করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিয়া-টু রোবট তৈরির কথা জানান মিনহাজ।
মিয়া-ওয়ান টিমের অপর সদস্য মাহমুদা আফরিন বলেন, রোবটটি মুখে কথা বলার পাশাপাশি তার এলসিডিতে সংশ্লিষ্ট ছবি প্রদর্শন করতে পারে। রোবটটির চোখে অত্যাধুনিক ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজি ব্যবহার করে অবজেক্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রিকগনিশন ও মোশন সেন্স করতে পারে। তাছাড়া, রোবটটি ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ইউজারকে সরবরাহ করতে পারবে।
মিনহাজ কুমিল্লা নগরীর শাকতলার হেফজুর রহমানের ছেলে। ছোট থেকেই তিনি প্রযুক্তি বিষয়ক কাজ করছেন। তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে রোবটের বিভিন্ন কার্যক্রম। রোবট নিয়ে তিনি আরও ভালো কিছু করতে চান।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে কুমিল্লাকে পথিকৃত বলা হয়। কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিতে ভূমিকা রেখে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।