ফাইভজি ডিভাইসটির খোলা অবস্থায় সম্পূর্ণ স্ক্রিনের মাপ আট ইঞ্চি। আর ভাঁজ করলে এর এক পাশের স্ক্রিনের মাপ হয় ৬.৮ ইঞ্চি, অপর পাশের মাপ ৬.৬ ইঞ্চি। র্যাম থাকছে ৮ জিবি আর ইন্টারনাল মেমোরি ৫১২ জিবি। আরও আকর্ষনীয় বিষয় হলো, ফোনটিতে থাকছে ৫৫ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা। এছাড়া ফোনের স্ক্রিন সংক্রান্ত যেকোনও মেরামত বা স্ক্রিন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ৫০ ভাগ ছাড়।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম সেলের জন্য তারা সীমিত সংখ্যক কিছু সেট বাজারে ছেড়েছে। তবে সংখ্যাটি কতো সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের বিশ্লেষক বেন উড বলেন, স্যামসাং গ্যালাক্সির ফোল্ডেবল সেটটি ব্যবহারের পর থেকে এই প্রযুক্তিটির ব্যাপারে তার সন্দেহ রয়েছে। এদিকে হুয়াওয়ে তার ফোল্ডেবল স্ক্রিনটি রেখেছে বাইরের দিকে। এমন ডিজাইনকে তিনি বিপজ্জনকই মনে করছেন। কারণ এতে স্ক্রিনটি সহজেই দুর্ঘটনাজনিত কারণে নষ্ট হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এমন বিশাল দামের একটি ফোন উন্মোচিত হলো শুধুমাত্র চীনে। তবে এটি অসাধারণ একটি ডিভাইস। যেকোনও বাণিজ্যিক পণ্যের চেয়ে এটিকে বরং ‘সম্ভবের শিল্প’ বলা যায়।’