প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন ও বাংলাদেশ কলসেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর দেশে গত ১১ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আইটি খাতের সম্প্রসারণে আগামী ৫ বছরে দেশে আরও ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আগামী ১২ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলাসহ দেশব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদযাপিত হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনি ইশতেহারে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালন করা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিন সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র্যালি বের করা হবে। র্যালিটি খামারবাড়ি হয়ে আবার দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী র্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
একইদিন বেলা ৩টায় বসুন্ধরার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সব জেলা, উপজেলায় র্যালি, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্যনির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আমার দেখা ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর প্রেজেন্টেশন তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।