ডিজিটাল নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: মোস্তাফা জব্বার

মোস্তাফা জব্বারডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট একদিকে যেমন সুফল বয়ে আনে অপরদিকে বিপর্যয়ও ডেকে আনে। নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। গুজবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল অপরাধ প্রতিহত করা হয়েছে।
মন্ত্রী সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স প্রকল্প আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিজিটাল সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান, টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম এবং প্রকল্প পরিচালক ও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রসারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটেছে গত এক দশকে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। গত ১০ বছরে তা সাড়ে নয় কোটি অতিক্রম করেছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল হবো, নিরাপদও থাকবো। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার বা সন্তানের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা খুব প্রয়োজন ছিল। এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বড় উদ্বেগের কারণ। তবে সরকারের সফল প্রচেষ্টায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং প্রচলিত আইন মেনে কন্টেন্ট প্রকাশে সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনুরূপ ভূমিকা রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।