দেশের সীমান্ত এলাকায় মোবাইলফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ

মোবাইলফোন-নেটওয়ার্ক-১দেশের সীমান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে মোবাইলফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে পাঠানো এই নির্দেশনা ইতোমধ্যেই কার্যকর করেছে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, ‘দেশের স্বার্থে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে নেটওয়ার্ক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি মোবাইলফোন অপারেটরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই তা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় প্রায় দুই হাজার মোবাইলফোনের টাওয়ার রয়েছে। এর সবই বন্ধ করা হয়েছে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের ফলে সীমান্ত এলাকার প্রায় এক কোটি গ্রাহক মোবাইলফোন ব্যবহারে সমস্যায় পড়তে পারেন।’

দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব’র মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মোবাইলফোন অপারেটররা সবসময়ই সরকারের নির্দেশ মেনে চলে। সীমান্ত এলাকার কাভারেজ নিয়ে যে নির্দেশনা এসেছে, তা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশের মোবাইল ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট, ভয়েস ও অন্যান্য সেবা পাবেন না।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক কভারেজ ২৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য বলা হয় বিটিআরসির নির্দেশনায়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ফলেই ডাক ও টেলিযোগোযোগ বিভাগে মোবাইলফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।   

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) আবু বকর ছিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সীমান্তের এক কিলোমিটারের মধ্যে মোবাইলফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধের বিষয়টি জানি না।’ 

প্রসঙ্গত, দেশের সীমান্ত এলাকার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ১০০ কিলোমিটার। এরমধ্যে রয়েছে ৩২টি জেলার যোগ।