সাকিব আরাফাত বলেন, আমাদের ব্র্যান্ড আসলে তিনটা, কিন্তু কোম্পানি দুটো। হুয়াওয়ে ও লেনোভো (মটোরোলা লেনোভোর প্রতিষ্ঠান)। আমাদের ব্র্যান্ড কৌশল যদি বলি, হুয়াওয়ের ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর আমরা। এছাড়া এটির ফুল ইকোসিস্টেমকে ২০২০ সালে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। হুয়াওয়ে শুধু মোবাইলের বিজনেসের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি জানান, আগে মোবাইলের সঙ্গে একসেসরিজ বিক্রি হতো, এখন একসেসরিজ ও ইকোসিস্টেমের সঙ্গে মোবাইল বিক্রি করবো। ইকোসিস্টেমটা গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোনের সঙ্গে ‘লাইফ’কে আরও কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, ল্যাপটপ, ওয়াইফাই-স্মার্টওয়াচ-ফুল ইকোসিস্টেমকে কীভাবে তৈরি করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। এ বছর এটা নিয়ে হুয়াওয়ে থেকেও অনেক বড় পরিকল্পনা আছে।
মটোরোলার জন্য সুখবর হলো, মার্কেটের সব জায়গায় স্মার্টফোনটি আছে। ২০১৯ সালে মুনাফা ধরে রেখে ব্যবসা করেছে। ২০২০ সালে এতে ভালো একটি বিনিয়োগ আসবে। এটিকে দেশে সফলতার সঙ্গে টিকিয়ে রাখা গেছে। যদিও স্বল্প পরিসরে ব্যবসা করেছি তবু ব্যবসা হচ্ছে। দেশের প্রায় প্রতিটি অনলাইন শপে খুব সক্রিয়ভাবে আছে মটোরোলা। এর বাইরে অফলাইনে ১০-১২টি জেলায় মটোরোলার উপস্থিতি আছে বলে জানান সাকিব আরাফাত।
তিনি বলেন, মটোরোলা ভালো করার কারণ হলো এর গুণগত মান। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, স্টক অ্যান্ড্রয়েড, নিয়মিত আপডেট আর মটোরোলার বিক্রয়োত্তর সেবাও রয়েছে আলোচনায়। আর ফোনটিতে সমস্যা নেই বললেই চলে।
ভবিষ্যতে স্মার্ট টেকনোলজিসের মোবাইল কারখানা করার ইচ্ছে আছে জানিয়ে সাকিব আরাফাত বলেন, আমরা হুয়াওয়ে নিয়ে যেতে চাই, মটোরোলা ও লেনোভো নিয়েও যেতে চাই। যেহেতু একই প্ল্যাটফর্ম তাই নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়েই উৎপাদনে যেতে চাই
এক প্রশ্নের জবাবে স্মার্টের এই পরিচালক বলেন, আমাদের পোর্টফোলিওতে তিনটি ব্র্যান্ডকেই রাখবো। এরমধ্যে হুয়াওয়েকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ, হুয়াওয়ের সঙ্গে স্মার্ট টেকনোলজিসের ফুল ইকোসিস্টেমকে আমরা ‘স্যুট’ করাতে পারবো। হুয়াওয়ে থেকে এ বছরে ভালো একটা ‘রেভিনিউ জেনারেট’ করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী। এ সময় মার্কেট ব্র্যান্ডিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, আমরা তিনটি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখি- ‘প্রাইস, কোয়ালিটি ও বেনিফিটস’। আমরা ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড মার্কেটিংকে আসলে এর বেনিফিটস হিসেবে দেখি। আমাদের ব্র্যান্ড থেকে গ্রাহক আসলে কী ‘বেনিফিট’ পাচ্ছে সেটিকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা ব্র্যান্ড মার্কেটিং প্ল্যান সাজিয়ে থাকি, ব্র্যান্ড মার্কেটিং করলাম কিন্তু বেনিফিটগুলো ক্রেতাকে বোঝাতে পারলাম না, বেনিফিট দিতে পারলাম না, এটা দীর্ঘমেয়াদের কোনও স্ট্র্যাটেজি নয়।
টেলিকম গ্রাহকদের প্রতি স্মার্ট টেকনোলজিসের এই পরিচালকের পরামর্শ, মোবাইল কেনার আগে এখন ক্রেতাদের সবার প্রথমে দেখা উচিত এর গুনগত মান, তবে ক্রেতারা চাহিদার একটা ট্রেন্ড তো থাকেই। যেমন, কোয়ালিটিও চাই, ব্র্যান্ডও চাই। কিন্তু এখনও যে জিনিসটা ক্রেতাদের জানা দরকার, কোয়ালিটি যদি না থাকে, যদি কোনও ব্র্যান্ড শুধু জিনিসপত্র দিয়ে ভরতে থাকে (যেমন ৮ জিবি দিলাম, ৬ জিবি দিয়ে দিলাম কিন্তু এর সঙ্গে কোয়ালিটি চিপসেট ম্যাচ করাতে পারলাম না, ডিসপ্লে ম্যাচ করাতে পারলাম না, ব্যাটারি পাওয়ার ম্যাচ করাতে পারলাম না, এটাতো ভালো না)। মোবাইল কেনার আগে প্রথম পাঁচটি বিষয়ের কথা যদি বিবেচনায় আনতে বলেন, তাহলে সবার প্রথমে হবে কোয়ালিটি, এরপর এই হ্যান্ডসেটের সঙ্গে আশপাশে কী ব্যবহার করতে পারছি। যেমন, এটা নিয়ে স্মার্ট লাইফের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পারছি কিনা, এরপরে বেনিফিট, এরপর বিক্রয়োত্তর সেবা, মূল্য ও অন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। তবে দাম যার বেশি কোয়ালিটি তার ভালো এ কথাটা মোবাইল কেনার সময়ে বিশেষ করে ব্র্যান্ড মোবাইল কেনার সময়ে একটু মনে রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে স্মার্ট টেকনোলজিসের মোবাইল কারখানা করার ইচ্ছে আছে জানিয়ে সাকিব বলেন, আমরা হুয়াওয়ে নিয়ে যেতে চাই, মটোরোলা ও লেনোভো নিয়েও যেতে চাই। যেহেতু একই প্ল্যাটফর্ম, তাই নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়েই উৎপাদনে যেতে চাই।