ইতোমধ্যে পরবর্তী সংস্করণগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন মাইক্রোসফটের ডেভেলপাররা। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নতুন সংস্করণের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের পছন্দ বা আগামীতে কী চান সেসব বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন। এছাড়া পরবর্তী সংস্করণগুলোতে নতুন কী কী আসছে সেসব দেখতে চাইলে এজ ইনসাইডার চ্যানেলের বেটা ভার্সন, ডেভ ভার্সন ও ক্যানারি ভার্সন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে একটু অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী ছাড়া এসব সংস্করণ বেছে না নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিকল্প হিসেবে উইন্ডোজ ১০-এ প্রথম উন্মুক্ত করা হয় এজ ব্রাউজার। তখন শুধু এই সংস্করণেই এটি ব্যবহারের সুবিধা ছিল। এখন ম্যাকওএস চালিত কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যাবে এই ব্রাউজার।
২০১৮ সালে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, ব্যবহারকারীদের জন্য এজ-এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ উন্মুক্ত করা হবে, যা হবে ওপেন সোর্স ভিত্তিক। এর মাধ্যমে ক্রোমিয়াম ভিত্তিক ব্রাউজার ব্রেভ ও ভিবালদি’র সঙ্গে যুক্ত হলো মাইক্রোসফট এজ।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মন্তব্য, যারা বর্তমানে গুগল ক্রোম ব্যবহার করছেন তারা চাইলে মাইক্রোসফট এজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুটি ব্রাউজারই ব্যবহারকারীর ব্রাউজ করা সব ডেটা সিংক্রোনাইজড করে একাধিক ডিভাইসে ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বরং ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা গুগলের চেয়েও মাইক্রোসফটকে বিশ্বাস করতে পারেন বলে অভিমত তাদের।
আগ্রহীরা চাইলে microsoft.com/edge ঠিকানা থেকে নতুন ব্রাউজার ডাউনলোড করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ, টেকক্র্যাঞ্চ, মাইক্রোসফট