এক বছরে সাড়ে ১৩ লাখ মোবাইল তৈরি

২০২২ সালে মোবাইল রফতানি করবে সিম্ফনি

সিম্ফনি মোবাইল তৈরির বিভিন্ন ধাপ-১২০২২ সাল নাগাদ দেশীয় ব্র্যান্ড সিম্ফনি তাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি মোবাইলফোন রফতানি করবে। এরইমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহিদ। তিনি জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দেশীয় কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় সিম্ফনির। গত এক বছরে এই কারখানায় ২৯টি মডেলের সাড়ে ১৩ লাখ ফোনসেট তৈরি হয়েছে। দিনে ১০ হাজারের বেশি, মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ মোবাইল সেট তৈরি হচ্ছে ঢাকা জেলার সাভারে গড়ে ওঠা সিম্ফনির মোবাইল কারখানায় যার মধ্যে দেড় লাখ ফিচার ও  দেড় লাখ স্মার্টফোন।

টেলিকম বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরিএনবি (টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ) সদস্যরা বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিম্ফনির কারখানা পরিদর্শনে গেলে জাকারিয়া শহিদ এসব তথ্য জানান। এ সময় এডিসন গ্রুপের সিনিয়র ডিরেক্টর মাকসুদুর রহমান, অন্যতম পরিচালক মেজর (অব.) আবদুল মালেক মিয়াজী, বিক্রয় বিভাগের প্রধান এম এ হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন টিআরএনবির সভাপতি মুজিব মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার খান শিপুসহ সাধারণ সদস্যরা।

এডিসন গ্রুপের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের প্রথমে মোবাইলফোন (ফিচার ও স্মার্টফোন) তৈরির বিভিন্ন ধাপ ঘুরিয়ে দেখান। পরে মান নিয়ন্ত্রণ, প্যাকেজিং, ড্রপ টেস্ট ইত্যাদি কার্ক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের জানানো হয়, কারখানায় প্রায় এক হাজার কর্মী কাজ করছেন যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। এ বছরের শেষ নাগাদ কর্মী সংখ্যা তিন হাজারে উন্নীত হবে বলে জানানো হয়। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে আশুলিয়ায় আরেকটি কারখানা চালু হবে এবং ডিসেম্বর নাগাদ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে সিম্ফনির আরেকটি কারখানা চালু হবে।  

সিম্ফনি মোবাইল তৈরির বিভিন্ন ধাপ-২

কারখানা ঘুরে দেখা গেল না কোনও বিদেশি কর্মী। কারখানা শুরুর সময় বিদেশী কর্মকর্তারা দেশীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে মোবাইল উৎপাদনে গেলে দেখা যায় সব কর্মীই দেশের। এজন্য এডিসন গ্রুপ কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন সিম্ফনি ‘ট্রু মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, মোবাইল ফোন বাজারের ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সিম্ফনির দখলে। বর্তমান বাজার চাহিদার ৪০ শতাংশ ফিচার ফোন সিম্ফনির এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে। অবশিষ্ট মোবাইল এখনও চীন থেকে তৈরি করে আনতে হচ্ছে। অন্যদিকে সিম্ফনি কোনও স্মার্টফোন আর চীন থেকে বানিয়ে আনে না, এই কারখানায় তৈরি করছে। তিনটি কারখানা চালু হয়ে গেলে আর কোনও ফোন বিদেশ থেকে তৈরি করতে আনতে হবে না। বরং দেশে তৈরি ফোনই বিদেশে রফতানি করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।

মতবিনিময় সভায় বলছেন জাকারিয়া শহিদ

মতবিনিময় সভায় আরও জানানো হয়, সিম্ফনির রয়েছে নিজস্ব সফটওয়্যার নির্মাতা দল। এই দলের সদস্যরা সফটওয়্যার, অ্যাপস ও গেমস ডেভেলপ করছে। সিম্ফনি মোবাইল একসেসরিজও তৈরি করছে যাতে অন্যদের দ্বারস্থ হতে না হয়। প্রতিষ্ঠানটি সব দিক দিয়ে নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়।