ঢাকায় শুরু হলো বেসিস সফট এক্সপো

‘ট্রান্সফর্মিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়ছে চার দিনব্যাপী বেসিস সফট এক্সপো-২০২০। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) মেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ১৬তম বেসিস সফট এক্সপো চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদসহ অনেকে।
বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘তারুণ্য শক্তিকে আমরা সহজেই আইটি দক্ষ জনবল গঠন করে রেমিট্যান্স বাড়াতে পারি। তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতায় বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজ। আর আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে শিল্প উৎপাদনে রোবটিক ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের প্রয়োগ বাড়ছে। এ ধরনের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিল্পোন্নত দেশগুলো উৎপাদনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। আমাদেরকেও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
বেসিস সফট এক্সপো প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে-বিদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্পে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। সেজন্য দেশের সব কাজ বিদেশিদের দিয়ে করা গেলেও তা স্থানীয় কোম্পানিদের দিয়েই বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’ এজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
বেসিস সফট এক্সপো-২০২০ এর আহ্বায়ক এবং বেসিস এর সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইমেন জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।’