করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আইসিটি বিভাগের আরও তিন উদ্যোগ

 

৫৫করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিভিত্তিক একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরি, অ্যাপস নির্মাণ, ডিজিটাল ম্যাপিং, হ্যাকাথন ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি আরও তিনটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আইসিটি বিভাগ। উদ্যোগগুলোর অংশ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ বট চালু হয়েছে। চালুর অপেক্ষায় আছে ভাইবার বট ও ভয়েস অব ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম।

এরইমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবট চালু হয়েছে। ভাইবার চ্যাটবট আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর অপেক্ষায় আছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ভয়েস অব ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম। আইসিটি বিভাগ জানায়, দেশে বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের সাড়ে তিন কোটি ও ভাইবারের দেড় কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন।

জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবটে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রশ্ন করে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত দেশি-বিদেশি সব তথ্য পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় তথ্য পেতেও চ্যাটবটে লগইন করা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভাইবারেও আমরা চ্যাটবট চালু করতে যাচ্ছি। এরইমধ্যে সফট লঞ্চিং সম্পন্ন হয়েছে। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবো।’ তিনি জানান, আইসিটি বিভাগ কিছু দিন আগে লাইভ করোনা টেস্ট ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে। সেই সাইট থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেই পরিমাপ করতে পারবেন যে তিনি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন কিনা। সেই সাইটটিকে এবার ভাইবার চ্যাটবটে ইন্টিগ্রেটেড করে দেওয়া হবে। ফলে ভাইবার ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জেনে নিতে পারবেন তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কিনা।

চ্যাটবট বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও চ্যাটবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাবের প্রধান নির্বাহী আরিফ নিজামি বলেন, ‘দেশে বিশাল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর একটা অংশ এখন হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবার ব্যবহার করেন। এই দুটি প্ল্যাটফর্মে বটের ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছে। আমাদের প্রেনিউর ল্যাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বট তৈরি করে দিয়েছে। ‍এটা দিয়ে অফিসের মিটিং, জরুরি কাজ সারা যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবারে টুল হিসেবে যে বট ব্যবহার হচ্ছে, তা সংশ্লিষ্ট দুই ওটিটি (ওভার দ্য টপ) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানই তৈরি করে দিয়েছে।’

আইসিটি বিভাগ সূত্র জানা গেছে, সিটিজেন জার্নালিজমের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস অব ইয়ুথ’ তৈরি করা হয়েছে। যে কেউ যেকোনও জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রকৃত তথ্য, ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সাউন্ড ক্লিপ ইত্যাদি এই প্ল্যাটফর্মে দিতে পারবেন। রিপোর্ট পাঠাতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে। তারা যাচাই-বাছাই করে সংবাদটির সত্যতা নির্ণয় করবেন। ফলে গুজবসহ যেকোনও ধরনের অপপ্রচার রোধ করা যাবে। জনগণের সামনে প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরে যাবে। করোনাভাইরাসজনিত এই সংকটকালে এটা আরও বেশি জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।