ধর্ষণ রোধে সামাজিক বন্ধনের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

ডা. দীপু মনি (ফাইল ছবি)

ধর্ষণকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'সমাজের সবাই মিলে এই ব্যাধি দূর করতে হবে। কারণ ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এ বিষয়ে আমরা সোচ্চার। রাষ্ট্র কঠোর অবস্থানে। সবার মিলিত উদ্যোগে এই বিষয়ে সুফল আসবে।'
রবিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস-২০২০ উদযাপনের অংশ হিসেবে রুম টু রিড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘করোনা পরিস্থিতি ও আমাদের কন্যা শিশুর ভবিষ্যত’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এর অপব্যবহার নেতিবাচক ঘটনার জন্ম দিতে পারে।' এজন্য তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সনদনির্ভর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন হয়েছে। আমরা আনন্দ নিয়ে শিখবো, পড়বো।' পরিবর্তনেরর বিষয়ে তিনি বলেন, 'পাঠক্রম যুগোপযোগী করছি, পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষক প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এনেছি। এর ফল শিগগিরই পাওয়া যাবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কথা বলে আসছি। মেডিক্যাল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। অন্য যেগুলো প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়- এগুলোর ক্ষেত্রে যে ভর্তি পরীক্ষা আশা করছি, সেগুলোও আমরা এবছর সমন্বিত পদ্ধতিতে নিতে পারবো। তারা (শিক্ষার্থীরা) সেখানে এই করোনাকালে ভর্তি পরীক্ষাটা কীভাবে দেবে- ডিসেম্বরের পরে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি কোন মাস নাগাদ অপেক্ষা করতে হবে, সে সময় দেশে করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তার ওপর কিছুটা নির্ভর করবে।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সচল রেখেছে। এর প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলেই তিনটি বিষয় সামনে চলে আসে এর দাম কমানো, সক্ষমতার মধ্যে এনে দেশের সব জায়গায় ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি। আগামী দিনে ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রযুক্তির ব্যবহার, জয় নামের অ্যাপের অবমুক্তির কথাও বলেন তিনি।

রুম টু ‍রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকারের স্বাগত বক্তব্যের পরে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেন, পরিবার থেকেই শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তারা কোনও অনৈতিক কাজে জড়াবে না। এই সমাজ বদলে যাবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।