জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে ডিজিটাল কমার্স: মোস্তাফা জব্বার

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বারই-ক্যাবের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান হলো অনলাইনে। বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ডিজিটাল-কমার্সের আজকের বাস্তবতার কার্যকারিতার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে ডিজিটাল-কমার্স। ভবিষ্যতে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হবে ডিজিটাল কমার্স। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ১ হাজার ৩৮০ সদস্যের মধ্যে যারা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কারণে সরাসরি যোগ দিতে পারেননি তাদের জন্য অনলাইনে এ আয়োজন করা হয়।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, করোনাকালে সরকার ও বিভিন্ন মন্ত্রণলায় যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি করোনাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ই-ক্যাবের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ই-ক্যাবের ইসি মেম্বার, সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য আশীষ চক্রবর্তী, আসিফ আহনাফ, জিয়া আশরাফ ও সাইদ রহমান বক্তব্য রাখেন।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, করোনার ৮ মাসে ই-কমার্স সেক্টরে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ডেলিভারি হচ্ছে প্রতিদিন, ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার তরুণকে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ১৬ হাজার কোটি টাকার সার্বিক ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে ৬০ লাখ মানুষকে সেবা দিয়েছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে করোনাকালে সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা দেওয়া, লকডাউন এলাকায় নিত্যপণ্য সেবাদান, ডিজিটাল গরুর হাটের মাধ্যমে কুরবানির গরু বিক্রি ও মাংস প্রসেসিং করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া, আমমেলার মাধ্যমে আম চাষিদের বিষমুক্ত আম শহরের ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া, অনলাইনে টিসিবির পেয়াজ বিক্রি কার্যক্রম, মানবসেবা কার্যক্রম, মেধাবিকাশের ডিজিটাল কার্যক্রম ই-জিনিয়াস কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর ঢাকার পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত ই-ক্যাবের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে করোনাকালীন সেবার জন্য ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তি ১০০ প্রতিষ্ঠান ও ৩৫ জন স্বেচ্চাসেবককে ই-কমার্স মুভারর্স অ্যাওয়ার্ড (ইকমা) দেওয়া হয়।