গেম রিভিউ: মেট্রো ২০৩৩

মেট্রো ২০৩৩ গেমের একটি পর্যায়

মেট্রো ২০৩৩- এটি ফার্স্ট পারসন শুটিং গেমস। গেমারদের শুটিংয়ের মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা দিতেই গেমটি প্রকাশ করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টিএইচকিউ। ডেভেলপ করার কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরেক গেমিং প্রতিষ্ঠান ৪এ গেমস। এক্সবক্স ৩৬০, প্লেস্টেশন৩ এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ চালিত পিসিসহ প্রায় সব ধরনের গেমিং কনসোলে মেট্রো ২০৩৩ উপভোগ করা যাবে।

আধিপত্যের জেদ ধরে ২০১০ সালে শুরু হয় ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ। পারমাণবিক বোমার আঘাতে লন্ডভণ্ড হয়ে যায় বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ে রাশিয়া। মরণঘাতী পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে মাটির নিচে তৈরি করা হয় বিশেষ বাংকার। যেখান থেকে পরবর্তীকালে গড়ে ওঠে আলাদা একটি মেট্রো শহর। সময় তখন ২০৩০ সাল। তেজস্ক্রিয় ধকলের কারণে মৃত মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দেহ গলে যাওয়ার পরিবর্তে জন্ম নেয় নতুন ধরনের জন্তু ডার্ক ওয়ানস। সময় গড়ানোর সঙ্গে ভারি হতে থাকে অদ্ভূত জন্তুদের দল।

২০৩৩ সালে মেট্রো শহরের ২০ বছরের যুবক আর্টিওম জানতে পারে, খুব শিগগিরিই হান্টার (ডার্ক ওয়ানসদের দলনেতা) শহর আক্রমণের নীলনকশা করছে। কথা হয় মেট্রো শহরের সর্বোচ্চ বাহিনীর যোদ্ধা রেঞ্জারের সঙ্গে। পোলিশ বাহিনীর কাছ থেকে এই শহর রক্ষার ব্যাপারে আবেদন জানাতে পরামর্শ দেন আর্টিওম। কিন্তু পোলিশ শহরে যাওয়ার রাস্তা বলতে কেবল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং নাজির সীমানা আর ডার্ক ওয়ানসদের অভয়ারণ্য। ভাগ্যক্রমে ডার্ক ওয়ানসদের মুখোমুখি হওয়ার আগেই পোলিশ বাহিনীর নেতা মিলারের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

সরবারাহ করেন ডার্ক ওয়ানস নাশক ডি৬ মিসাইল। নির্দেশনা মতো মিসাইলটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রেডিও টাওয়ারের সঙ্গে সেটে দিয়ে লেসার সিস্টেমটি এক প্রকার শেষ করে এনেছিলেন আর্টিওস। তীব্র দৃষ্টিভ্রমে অচেতন হয়ে পড়েন আর্টিওম। চেতনা ফিরে আসার পর এখানে দুই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব। তাই গেমটির শেষ পরিণতির জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে গেমারকে। হয় সাধারণ পরিণতি, নয় আর্টিওসের মৃত্যু।

প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার: ইন্টেল ডুয়াল কোর ৩.০ গিগাহার্টজ প্রসেসর, র‌্যাম: ২ গিগাবাইট, গ্রাফিকস কার্ড: জিফোর্স জিটিএক্স ২৬০ অথবা এএমডি এইচডি ৪৮৯০ সিরিজের ৫১২ গিগা, ডাইরেক্ট এক্স-৯, এবং ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস: ১২ গিগা।

/এইচএএইচ/