তথ্যপ্রযুক্তিতে ৪ ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

২০১৫ সালে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

আইটি আউটসোর্সিং, ব্যাক অফিস বা অফশোরিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও), ভয়েস সার্ভিসসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় গ্লোবাল সার্ভিসেস লোকেশন ইনডেক্সে (জিএসএলআই)-এ ৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ইনডেক্সে ২৬তম অবস্থানে থাকলেও এবার বাংলাদেশের অবস্থান ২২। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান এ.টি.কারনির সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে বাংলাদেশ এই সম্মানজনক অবস্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) গত কয়েকবছর ধরে এ.টি.কার্নিকে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়া দেশের বাইরে কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং করছে আইসিটি বিভাগ ও বেসিস।

জিএসএলআই-এ বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগের ফলে গত কয়েক বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গার্টনার এবং এ.টি.কারনিসহ বেশ কিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্টে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ কারণে ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে ই-গভর্নেন্সসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে, যার মাধ্যমে দেশি কোম্পানির জন্য স্থানীয় বাজার প্রসারিত হবে।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, এ.টি.কারনির এ সূচকে প্রধান দেশগুলোর বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ৫০টি আইটি আউটসোর্সিং ও অফশোরিং দেশের মধ্যে এশিয়ার প্রভাব রয়েছে। এই তালিকায় ৪ ধাপ এগিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমরা যদি আগামী ৩ বছরের মধ্যে জিএসএলআই -এর তালিকায় প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে থাকতে চাই তাহলে আমাদেরকে স্থানীয় বাজার উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট পলিসি ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্টে পরিবর্তন এনে সরকারি কাজে দেশি কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

/এইচএএইচ/