পরিবেশবান্ধব রাস্তা দেখাবে গুগল ম্যাপস

কার্বন নিঃসরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় একটি উৎস হলো গাড়ি ও বিমান। বিষয়টি মাথায় রেখে গুগল ম্যাপস তার ব্যবহারকারীদের জন্য এমন ব্যবস্থা আনছে যেখানে ব্যবহারকারীরা ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গুগল ম্যাপস ও গুগল ফ্লাইটস এমন একটি ফিচার আনতে যাচ্ছে যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে ব্যবহারকারীকে ভ্রমণের পরামর্শ দেবে।

নতুন এই ফিচার অনুসারে ড্রাইভারকে সবচেয়ে সহজ রাস্তা দেখানোর জন্য গুগল ম্যাপস এমন রাস্তা দেখাবে যেটাতে জ্বালানি খরচ সবচেয়ে কম হবে। আর এই নতুন ফিচারটি চালু করার জন্য গুগল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি বিভাগ থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। বিভাগটি হিসেব করে দেখেছে, এই পরিবেশবান্ধব রাস্তা দেখানোর ফিচার যদি সফল হয় তাহলে প্রতি বছর অন্তত ১০ লক্ষাধিক টন কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। গুগল জানায় এই হিসাব অনুসারে রাস্তা থেকে দুই লাখ গাড়ি সরানোর পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে।

সিএনএন জানায়, এই ফিচার চালু হলে গুগল ম্যাপসে সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব রাস্তাটিকে ডিসপ্লেতে ছোট সবুজ পাতাসহ দেখাবে। সেইসঙ্গে আরও দেখাবে সেই রাস্তার দৈর্ঘ্য কতো এবং সেই রাস্তা দিয়ে গেলে তার কী পরিমাণ জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

গুগল জানায় জানায়, গাড়ির চাইতে মোটরবাইক অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। ম্যাপসে বাইক ডাইরেকশন ব্যবহারের হার আগের বছর বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি বাইক রাইডারদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে লাইট নেভিগেশন নামে নতুন একটি ফিচার এনেছে। ফিচারটি সাইক্লিস্টদের রাস্তা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানাবে। ফিচারটি চালু হয়েছে মূলত একজন সাইক্লিস্টের অভিযোগের পর। তার অভিযোগের বিষয় ছিল ম্যাপে এরকম ঘন ঘন  দিক নির্দেশনার বিষয়টি আসলে বিরক্তিকর। বাইকাররা আসলে রাইডিংয়ের সময় ফোনটি হাতে রাখে না। এই ফিচারে স্ক্রিন চালু না রেখেই তারা গন্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। সেই সঙ্গে সাইক্লিস্টরা তাদের যাত্রার অগ্রগতি এবং আনুমানিক সময়কাল সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারবে।

এছাড়া গুগল ফ্লাইটসে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য যোগ করা হয়েছে মূল্য এবং যাত্রাকালের তথ্য। সেখান থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের ফ্লাইটে কার্বন নিঃসরণের হার জানতে পারবে। তবে এই হিসেবটি ফ্লাইট এবং আসন হিসেবে বলে জানায় গুগল।