ই-কমার্স পলিসি ডায়ালগ শুরু

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইউএসএইড যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট) -এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ই-কমার্স পলিসি ডায়ালগ সিরিজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ছিল প্রথম সংলাপ পর্ব। রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যমান ই-কমার্স নীতিকে কীভাবে আরও সংহত, গ্রাহকমুখী এবং টেকসই করা যায় তা নিয়ে আয়োজিত এই সংলাপে, আইসিটি বিভাগ, এসএমই ফাউন্ডেশন, ব্যাংক, বাণিজ্য সংগঠনগুলো এবং ই-কমার্স উদ্যোক্তারা যোগ দেন।

এই সংলাপের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্স ব্যবসার বর্তমান অবস্থাকে তুলে ধরা এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করা। এরপর  চ্যালেঞ্জগুলো ‘এটুআই’-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা। এইরকম ৩টি সংলাপ আয়োজন করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।

প্রথম সংলাপ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। ‘এটুআই’-এর ই-কমার্স প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি ডিজিটাল আইডি সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পলিসি একটি নির্দেশনা। এটিকে যুগোপযোগী রাখতে সরকার সদা সচেষ্ট। ই-কমার্সের জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি ও ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে, যার জন্য নতুন কিছু করতে গেলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ই-কমার্স এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শিল্প এবং তাদের গ্রাহকেরা উপকৃত হবেন অবশ্যই।

সংলাপে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই ডিজিটাল পেমেন্টের ইন্টার-অপারেবিলিটি নিয়ে কাজ করছেন। এর ফলে অচিরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের পৌঁছে যাবে। তিনি ব্যাংকদেরকে ক্ষুদ্র ও ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে আরও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করেন। 

মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় রেজওয়ানুল জামী উল্লেখ করেন যে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলো বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু সহজ আইনি বিষয় সংস্কার করলে এবং প্রযুক্তিসক্ষম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার করতে পারলে এই খাত আরও দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।