কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের যাত্রাকে স্মরণীয় রাখতে স্মারক ডাকটিকিট

কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের অভিযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাক অধিদফতর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। ৩৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে কম্পোজ করে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের মাধ‌্যমে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। উন্মোচিত হয় বিজয় বাংলা সফটওয়‌্যারের মাধ‌্যমে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের স্বর্ণালী এক অধ‌্যায়ের।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ১০ টাকা মূল‌্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল‌্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এই উপলক্ষে ৫ টাকা মূল‌্যমানের ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তি ও ঘটনার ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকেটের প্রয়োজনীয়তা আছে-থাকবেও। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকেট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকেটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মুদ্রণ যন্ত্রে বাংলা হরফের ক্রমবিকাশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৪৫৪ সালে জার্মানিতে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার হলেও পঞ্চানন কর্মকারের হাত ধরে ৩২৪ বছর পর তা হুগলিতে আসে। শীশার হরফে বাংলা প্রকাশনার সেই কঠিন যুগ পেরিয়ে সাপ্তাহিক আনন্দপত্রের প্রকাশনা ছিলো বাঙালির ইতিহাসের একটি অভাবনীয় অধ‌্যায়। এই অধ‌্যায়টির উদ্ভাবক কে সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু ইতিহাসের পথরেখায় সেটি যাতে মুছে না যায় সেজন‌্য স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে ডাক অধিদফতর সঠিক দায়িত্বটি পালন করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল আলম, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হারূন উর রশীদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।