বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট পাবে ৫১টি স্টার্টআপ, নিবন্ধন শুরু

উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের জন্য আবারও চালু হলো বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ)। ২০২৩ সালের বিগ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার’র বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন।

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক দেশের সমস্যাগুলোর প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান দিয়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই, তাদের প্রয়োজন সহযোগিতা। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের মাধ্যমে আমরা সেই সুযোগ করে দিচ্ছি। আমাদের তরুণ উদ্ভাবকেরা শুধু দেশের নয় বিশ্বের সমস্যাও সমাধান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক

তিনি জানান, ভারত-সিঙ্গাপুর থেকে এরইমধ্যে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোকে ৮০০ মিলিয়নের ওপর বিনিয়োগ এসেছে। স্টার্টআপ ধীরে ধীরে ওঠে না, রকেটের গতিতে ওঠে। বিকাশ, নগদ ও শপআপ এরইমধ্যে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিগ থেকে স্টার্টআপদের নেটওয়ার্কিং ও ফিডব্যাক পাওয়ার সুযোগ থাকে যেগুলো স্টার্টআপদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  সবশেষে তিনি দেশের সব উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপদের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

প্রাথমিকভাবে ২৮ মার্চ থেকে বিগ ২০২৩-এর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.big.gov.bd) ভিজিট করে নিবন্ধন করা যাবে। জাতীয় পর্যায়ে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। 

বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’র পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ কোটি টাকা অনুদান। বাকি নির্বাচিত তালিকার সেরা ৫০ স্টার্টআপের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান।