পাহাড়ি ফাঁদ থেকে বাঁচতে লড়াই

‘ফায়ার ওয়াচ’ একটি গোয়েন্দাধর্মী গেম। গেমটি নির্মাণ করেছে কাম্প সান্তো। এটি বাজারে এনেছে প্যানিক স্টুডিওস। প্লে- স্টেশন ৪, ওএক্স ৪, লিনাক্স এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজচালিত পিসিসহ প্রায় সব ধরনের গেমিং ডিভাইসেই সমানতালে উপভোগ করা যাবে ‘ফায়ার ওয়াচ’ গেমটি।

গেমের ছবি

সময়টা তখন ১৯৮৯। দুর্গম অঞ্চল ইয়োম। চারদিকে গহীন অরণ্য। এই অঞ্চলে বাস করে না কোনো সাধারণ মানুষও। এমনকি নেই তেমন কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা মোবাইল নেটওয়ার্ক। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে দুর্গম ইয়োম সংরক্ষণের। যাকে সোসো জাতীয় উদ্যান নামকরণ করা হয়। শুরু হয় সেখানে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা স্থাপনের। পৌছানো হয় বিদ্যুৎ সেবা। আর সেই সঙ্গে সেখানে অরণ্যটিকে দেখাশোনা করার জন্য পাঠানো হয় কয়েক কর্মকর্তাকে। গেমটির প্রধান চরিত্র হেনরিকেও পাঠানো হয় একটি টাওয়ারের দায়িত্ব দিয়ে। আর হেনরির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষায় থাকেন একজন কর্মকর্তা। সেখানে পৌঁছে বুঝে পাওয়ামাত্রই হেনরি নেমে পড়েন ভয়ঙ্কর অরণ্য ভ্রমণে। তিনি পাহাড়ে চড়েন, নদীতে সাঁতার কাটেন এবং বেশ কিছু গুহাও পর্যবেক্ষণ করেন। একদিন হেনরি পাহাড়ের চূড়ায় দেখতে পান কে যেন বিদ্যুতের তার কেটে রেখেছে। হেনরি অন্য প্রান্তে থাকা সহকর্মীকে জানান এ কথা। তবে হতভম্ব সহকর্মী হেনরিকে জানায়, তাহলে টাওয়ারে এখন অনাকাক্ষিত কেউ আছে। গোয়ান্দাধর্মী চমৎকার অ্যাডভেঞ্চার ধাঁচের গেমটিতে এমনই এক প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হতে হবে  একজন গেমারকে। আর হেনরির বেশে উন্মোচন করতে হবে অজানা রহস্য। তবে রহস্য উন্মোচন সহজ হবে না। কারণ টাওয়ারের দিকে ফিরে যেতে গেমারকে পদে পদে পাহাড়ি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে। গেমটিতে বাস্তবতার স্বাদ এনে দিতে থাকছে না কোনো ম্যাপিং ব্যবস্থা। একজন গেমারকে শুধু ওয়াকি-টকির মাধ্যমে নির্দেশনার সাহায্য পাবেন। গেমারকে পাহাড়ে চড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী অরণ্যে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করতে হবে। এভাবে প্রতিকূলতা পেরিয়ে পৌছাতে হবে টাওয়ারে এবং অনাকাক্ষিত কে এখানে কে আছে, সেটা মানুষ , প্রাণি নাকি ভিন গ্রহের অতিপ্রাকৃত কেউ।

যা যা লাগবে: প্রসেসর: উইন্ডোজ ৭৬৪ বিট চালিত ইন্টেল কোর আই৩-২১১৫সি, ২.০ গিগা বা এএমডি সিপিইউ অ্যাথলন টু এক্স৩ ৪৬০, র‌্যাম: ২ গিগা, গ্রাফিক্স কার্ড: এনভিডিয়া জি- ফোর্স জিটিএস ৪৫০ অথবা র‌্যাডন এইচডি ৬৭৭০ সিরিজের ৬ গিগা, ডাইরেক্ট এক্স-১১ এবং ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস: ৫ গিগা।

/এইচএএইচ/