রবির আয়ের তুলনায় মুনাফা কম

মোবাইল ফোন অপারেটর রবির রাজস্ব আয়ের তুলনায় মুনাফার পরিমাণ কম হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে রবি ২ হাজার ৫৩৯ দশমিক ৯ কোটি টাকা আয় করেছে। এ সময় অপারেটরটি কর পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৪ দশমিক ৪ কোটি টাকা। যদিও এই মুনাফার হার বিগত সময়ের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে রবি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অপারেটরটি চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের বিজনেস আপডেট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায়। রাজধানীর গুলশানে রবির প্রধান কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কিউ-২ প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডেটা (ইন্টারনেট) শুধু আর ভবিষ্যতের ব্যবসা নয়, বর্তমান সময়েই এটি হয়ে উঠেছে ব্যবসার অন্যতম চালিকাশক্তি-এমন চিত্রই উঠে এসেছে রবি'র চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এম. রিয়াজ রাশিদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ, চিফ ইনফরমেশন অফিসার ভারিন্দার পল সিংলা, ভারপ্রাপ্ত চিফ হিউমান রিসোর্সেস অফিসার মোহাম্মদ মারুফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭৬২ দশমিক ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে অপারেটরটি।

কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮ লাখ গ্রাহক যুক্ত করার পর মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬৪ লাখে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ। এই প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১০ লাখ ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়ে ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩১ লাখে উন্নীত হয়েছে। যা রবির মোট গ্রাহকের প্রায় ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

ব্যবসার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রবি'র সিইও রাজীব শেঠি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির নানামুখী চ্যালেঞ্জে সত্ত্বেও কোম্পানির সামগ্রিক কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমাদের আয়ের ৩৯ শতাংশ ডেটা (ইন্টারনেট) ব্যবসা থেকে এসেছে যা ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সঠিক প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমাদের অর্জিত আয়ের একটা বড় অংশ বিভিন্ন ফি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দিতে হয়েছে, যা আমাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে সাহেদ আলম বলেন, আমরা মুনাফায় আছি। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা শেয়ার হোল্ডারদের সুখবর দিতে পারবো।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয়ের একটা বড় অংশ বিভিন্ন ফি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দিয়েছে অপারেটরটি। ফলে  ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে। মুনাফা কম হয়েছে।