ঢাকায় চলছে লাখো ডাকটিকিটের প্রদর্শনী

স্মারক ডাকটিকিট সভ্যতার বাহন উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘স্মারক ডাকটিকিট একটি দেশ, জাতি ও সভ্যতা সম্পর্কে যে তথ্য দিতে পারে, অন্যভাবে তা পাওয়া যায় না। স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অতীতের জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে আত্মস্থ করার সুযোগ পায়। ডাকটিকিট সংগ্রহ একটা বড় শখ ও নেশা।’ তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কো-কারিকুলাম হিসেবে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনের তৃতীয় তলায় শুরু হওয়া ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাম্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে একেকটি ডাকটিকিট একেকটি মহাকাব্য হতে পারে। আমাদের দেশে ডাকটিকেট সংগ্রহকে আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ এই ব্যাপারে সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।

প্রদর্শনীতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সৌদিআরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ফিজি, মালোয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপালসহ ১৭টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারীরা ৪০০টি ফ্রেমে ২ হাজারের বেশি শিটে স্ট্যাম্প প্রদর্শনী করছেন। ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলাটেলিক জুরি বোর্ডের সহ-সভাপতি রজার ট্যান, ট্যান চিহুই এবং ভারতের ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রাজেশ কুমার বাগরি।

বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ফয়জুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া পোস্ট’র প্রীতি আগার ওয়াল ও হাম্মাদ জাফর, অস্ট্রেলিয়া ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের ডেভিড ফিগ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ফিজি পোস্ট এবং অস্ট্রেলিয়া পোস্ট থেকে দুইটি করে স্যুভিনর শিট উন্মোচন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ খাম ও স্মারক ক্যানসেলরসহ বেশ কিছু ডাক সামগ্রী উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

প্রদর্শনীতের চারটি দেশের জাতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে অস্থায়ী পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৩০টি স্টলে বিভিন্ন সংগ্রহ সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।