প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা মার্কাসহ এসএমএস পাঠাতে পারবেন

প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা মার্কাসহ ভোটারদের মোবাইল ফোনে এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) পাঠাতে পারবেন। আগে যা নিয়মে ছিল না। প্রার্থী ও মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে অনুরোধ আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের উপ-পরিচালক আসিফ ওয়াহিদের সই করা ওই নির্দেশনায় এই তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাধারণ এসএমএস প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনও প্রার্থী নির্বাচনি আচরণ অনুসরণপূর্বক দল বা ব্যক্তি ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার জন্য এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তিনি তার এলাকার জনগণের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস প্রদান করতে পারবেন। তবে এই নির্দেশনার অন্যান্য বিষয়াদি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

প্রসঙ্গত, এটুপি এসএমএস এগ্রিগেটর তালিকাভুক্তির নির্দেশিকার অনুচ্ছেদ ১৮.৫ সংশোধন করে এই নির্দেশনা জারি করে বিটিআরসি। এই বিষয়ে বলা ছিল, জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের কোনও প্রার্থী কোনও নির্দিষ্ট দল ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চেয়ে এসএমএস প্রেরণ করতে পারবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত তরুণ ভোটারদের মধ্যে যারা প্রযুক্তিপ্রেমী তাদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনি আসনের সব মানুষকে বা শুধু ভোটারকে এসএমএস করার ব্যবস্থা থাকবে। জানা যায়, মোবাইল ফোন অপারেটরদের কেউ কেউ বাল্ক এসএমএসর প্যাকেজ ডিজাইনও করে ফেলেছে। ১০ হাজার বাল্ক এসএমএস প্রায় দুই হাজার টাকায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।