যাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে তারাই বায়োমেট্রিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: তারানা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম অভিযোগ করেছেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) সিম নিবন্ধনের কারণে যাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে তারাই এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোনও ষড়যন্ত্র করে তাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এই কাজ থেকে ফেরানোও যাবে না।

বুধবার সকালে সচিবালয়ে তার দফতররে দেশের মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তিনি এই বৈঠক ডাকেন।

বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনে উচ্চ আদালতে রিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সময় মতো রিটের জবাব দেওয়া হবে।’

১৬ ডিসেম্বরে শুরু হওয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত আড়াই কোটির বেশি সিম নিবন্ধিত হয়েছে। ৩০ এপ্রিল পরযন্ত সিম নিবন্ধন করা যাবে।

গত ৬ মার্চ তারানা হালিম সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডাটাবেজের কর্মকর্তা, মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। আজকের বৈঠকটি ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতা বলে জানানো হয়েছে। বৈঠকে সিম নিবন্ধনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়।

ওই বৈঠকে তারানা হালিম বলেছিলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ডাটাবেজে রক্ষিত আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনওভাবেই তা আলাদা কোথাও সংরক্ষণ করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে ডিভাইস দিয়ে আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে তাতে সংরক্ষণের কোনও সফটওয়্যার নেই। এটা অনলাইন ভেরিফিকেশন, অফলাইন নয়। ফলে আঙুলের ছাপ অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

/এইচএএইচ/এসটি/