জার্মানির হ্যানোভারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রদর্শনী ও সম্মেলনে যোগ দিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৪ মার্চ থেকে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে, শেষ হচ্ছে ১৮ মার্চ।
সিবিটের প্রতিনিধির কাছে দেওয়া সে সাক্ষাৎকারের অডিও প্রকাশ করা হয়েছে প্রদর্শনীর ওয়েবসাইটে।
বাংলাদেশের আইটি খাতকে কিভাবে দেখেন- এ প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল খাতে একটি সম্পূর্ণ বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০০৮ সালে আইটি খাতকে এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছি। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে এটা ছিল একটি। এখন বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। যে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে সে দেশের জন্য এই হার অনেক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবাকে নাগরিকের হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। এতে জনগণের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত হবে, তেমনই প্রশাসনের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ সহজ হবে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইটিকে তৈরি পোশাক খাতের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার।’
দশ বছর পর বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান?- জানতে চাইলে জয় বলেন, ‘দেখুন দশ বছর আগেও কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের যোগাযোগের ধরন এরকম ছিল না। সে সময় আমরা চিন্তাও করতে পারতাম না সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকবে। কিন্তু এখন এরকমই হচ্ছে। এ দেশের মানুষ খুব দ্রুতই এগিয়ে যাবে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তি সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিল না। যে শিশুটি মাত্র কয়েকবার টেলিভিশন দেখেছে, তার হাতেও একটি ট্যাব দেওয়া হলে সে দ্রুততম সময়ে এর ব্যবহার শিখে নিতে পারে। এতে ব্যক্তির ক্ষমতায়ন হয়। শুধু পরিবার নয়, সামাজিক যোগাযোগ, প্রশাসনের সঙ্গে, রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগেও আসে ভিন্ন মাত্রা। ফলে আমি আশাবাদী।’
/ইউআর/এজে/