বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টার

প্রথম থ্রিডি প্রিন্টার

থ্রিডি মুভির পর থ্রিডি প্রিন্টারও এখন প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে অন্যতম একটি মাধ্যম। গাড়ি, বাড়ি এমনকি নদীর ওপর সেতু নির্মানেও এখন থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে থ্রিডি প্রিন্টারের যে জৌলুস তা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। প্রায় ৩৫ বছর আগে থ্রিডি প্রিন্টার জাপানের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রকাশ হয়। ১৯৮১ সালে জাপানের বিজ্ঞানীরা থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে বিভিন্ন বস্তু প্রিন্ট করে দেখেন। সেসময় উপাদান হিসেবে তরল ফটোপলিমার ব্যবহার হতো কোনও মডেল তৈরির জন্য।  


তিন বছর পরে ১৯৮৪ সালে বিজ্ঞানী চার্লস হল স্টেরিওলিথোগ্রাফির মাধ্যমে থ্রিডি প্রিন্টারের পরিচয় ঘটান যেখানে ডিজিটাল ডেটা দিয়ে ডিজাইনাররা ইচ্ছামত মডেলের ডিজাইন করতে পারেন। চার্লস আবিষ্কৃত থ্রিডি প্রিন্টারে তরল ফটোপলিমারই ব্যবহার হতো। ফটোপলিমার গরম হয়ে ডিজাইনের আকারে প্লাস্টিক তৈরি করত।

১৯৯২ সালে থ্রিডি প্রিন্টারে তরল ফটোপলিমারের বদলে পাউডার ব্যবহার শুরু হয় এবং যেকোনও মডেলের জিনিস প্রিন্ট করা সম্ভব হয়। তারপর থেকে থ্রিডি প্রিন্টার খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। একের পর এক নতুন সংস্করণ বের হয় এবং ২০০৯ সালে স্টারটাসিস কোম্পানির পেটেন্ট স্বত্ব শেষ হলে জন সাধারণের কাছে সুবিধাজনক দামে থ্রিডি প্রিন্টার চলে আসে।

/এইচএএইচ/