সাত দফা দাবিতে সিটিসেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন





সাত দফা দাবিতে সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন
টেলিকম অপারেটর সিটিসেলের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বকেয়া বেতন পাওনাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন শুরু করেছেন।

বুধবার বিকেল চারটা থেকে মহাখালীর সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তারা এ মানববন্ধন শুরু করেন।
সিটিসেল কর্মীদের করণীয় নির্ধারণ করতে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ)এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল করিম বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেছি। আমাদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, চার মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, ঈদের বোনাস প্রদান, প্রফিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা প্রদান, গ্র্যাচুইটি প্রদান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ বছরের পূর্ণাঙ্গ বেতন-ভাতা প্রদান, কর্তনকৃত কর সদন প্রদান অথবা সমপরিমাণ অর্থ ফেরত এবং এলএসএ বোনাস প্রদান।
তিনি বলেন, আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান ও বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আবেদন জানান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ) সভাপতি আশরাফুল করিম।

সাত দফা দাবি আদায়ে মানবন্ধন করছেন সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাএদিকে, মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধের (লাইসেন্স বাতিল) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
 প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকদের অপারেটর বদলের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে দিন গণনা শুরু হবে।


তিনি আরও বলেন, সিটিসেল কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স ফি এবং তরঙ্গ ফি বাবদ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

/এইচএএইচ/এবি/

আরও পড়ুন


সিটিসেল বন্ধ ও অর্থ মামলার শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর

সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত