দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা

বক্তব্য রাখছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল প্যাট্রিক ফোলিচলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই অংক ৫ দশমিক ৮ ভাগ বেশি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অপারেটরটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ব্যবসায়িক আপডেট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রাহক যোগ করার দিক থেকে এই প্রান্তিক খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিল বলে উল্লেখ করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি। তার ভাষ্য, ‘এই সময়ে আমরা ডাটা (ইন্টারনেট) এবং ভয়েস উভয় খাতেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘রেগুলেটরি ব্যবস্থা ও স্থানীয় করনীতি ব্যবসায়িক সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। ফোরজি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম নিউট্রালিটি, পুরনো সিম ট্যাক্স এবং গ্রাহকের সেবা ব্যবহারের ওপর করের মতো বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী। তখন সরকার ও আমাদের শিল্পের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংলাপ বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও দৃশ্যমান পরিবেশ এবং গ্রাহকদের জন্য সুলভ সেবা পাওয়ার পথ সুগম হবে।’
মোবাইল শিল্প বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র একটি সাফল্যের দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি। তার মতে, ‘এই শিল্পে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীদের জন্য বিষয়টিকে আকর্ষণীয় রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’ 

বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামীণফোন ৬ কোটি ১৬ লাখ সক্রিয় গ্রাহক নিয়ে ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে, যা ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২ দশমিক ৯ ভাগ বেশি। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লাখ হওয়ায় গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের শতকরা ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কর প্রদানের পর এ্ই প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা হয়েছে ৭৯০ কোটি টাকা। এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৮৭ টাকা।

গ্রামীণফোন প্রান্তিকে থ্রিজি ও টুজি কাভারেজ বিস্তারে এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ৩৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এই সময়ে ১৪১টি টুজি এবং ২২৫টি থ্রিজি বেজ স্টেশন (বিটিএস) নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। ফলে মোট টুজি বিটিএস-এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৬৩টি এবং থ্রিজি বিটিএস ১১ হাজার ৫৫৭টি। এই প্রন্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি আকারে ১হাজার ৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, ‘গ্রামীণফোনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ১০৫ ভাগ অন্তরবর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।’
এ সময় আরও ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন, হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামালসহ অনেকে।

/এইচএএইচ/জেএইচ/