অপারেটর পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ছেড়েছে গ্রামীণফোন, এসেছে রবিতে





গ্রামীণফোন ও রবিনম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সেবা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটিতে (এমএনপি) সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ছেড়ে গেছেন গ্রামীণফোন। অন্যদিকে অন্য অপারেটর থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক এসেছেন রবিতে। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।

বিটিআরসি বলছে, বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোন ছেড়ে গেছেন ৬২ হাজার ৩১৭ জন গ্রাহক। এর বাইরে ৩৯ হাজার ৮৫৭ জন ছাড়তে চাইলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে পারেননি। এছাড়া অন্যান্য অপারেটর থেকে গ্রামীণফোনে যোগ দিয়েছেন ১২ হাজার ৩৪৬ জন গ্রাহক।
অপারেটর বদল করে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক এসেছেন রবিতে। এতে ৯৩ হাজার ৮২৮ জন এসেছেন, আর ছেড়ে গেছেন ২৩ হাজার ৯১১ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও ১৪ হাজার ৮৯৬ জন গ্রাহক রবি ছেড়ে যেতে চাইলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে পারেননি।
বাংলালিংক থেকে ৪৫ হাজার ৯২ জন ছেড়ে গেছেন। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৪৪ হাজার ৩১ জন বাংলালিংক ছেড়ে যেতে চাইলেও নানা কারণে পারেননি। তবে এতে যোগ দিয়েছেন ২৫ হাজার ৬১৫ জন গ্রাহক। অপারেটর বদল করে সবচেয়ে কম গ্রাহক এসেছেন টেলিটকে। এতে নতুন যোগ দিয়েছেন ২ হাজার ২ জন। অন্যদিকে, তাদের ছেড়ে গেছেন দুই হাজার ৩০১ জন।
রবিতে বেশি গ্রাহক আসা প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের নেটওয়ার্ক ও সেবার মান প্রতিযোগীদের চেয়ে অনেক উন্নত হওয়ার কারণেই এমএনপির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাহক রবিকে বেছে নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। গ্রাহকের আস্থার প্রতিদান দিতে নেটওয়ার্ক ও সেবার মান ধরে রাখতে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।’
সাহেদ আলম আরও বলেন, ‘তবে করপোরেট গ্রাহকদের এমএনপি সেবা গ্রহণে এখনও বড় ধরনের জটিলতা রয়ে গেছে। এমএনপি সেবা চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান সফলভাবে এমএনপি সেবা নিতে পেরেছে। ব্যাংকের ওটিপি সেবা পেতেও সমস্যায় পড়ছেন এমএনপি সেবা নেওয়া অনেক গ্রাহক। আমরা আশা করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে।