অভিযোগের ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দাবি মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের

 

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সঙ্গে বৈঠক

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে গ্রাহকের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয় উঠে আসে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ কমিশনের চেয়্যারম্যানের কাছে ১৫ দফা দাবি পেশ করেছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনকে আরও শক্তিশালী ও জনস্বার্থে গঠনমূলক কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন। সেই সঙ্গে দাবি-দাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনের ভিত্তিতেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে। আইনের সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, আইন তৈরি করেন আইনপ্রণেতারা, আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি। অতএব যারা আইন তৈরি করছেন তাদেরকেও জনস্বার্থ এবং আইনের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হয়েই আইন তৈরি করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে কোনও গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা আদায় হলে অভিযোগকারীকে ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়া হয়। বিটিআরসি এই কাজটি করে না। আমরা বিটিআরসিকে বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কমিশনের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তাই কমিশনকে সব কিছুর ঊর্ধে এসে জনস্বার্থে কাজ করতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা  বিটিআরসি চেয়্যারম্যানকে বলেন, গ্রাহকের কাঙ্ক্ষিত সেবা ও অধিকার অর্জন না হওয়ায় গ্রাহকরা কমিশন ও আমাদের সংগঠনের ওপরেও দায় চাপায়। ইতিপূর্বে গণশুনানিতে বেশকিছু সমস্যা আমরা তুলে ধরে ছিলাম। আপনার বরাবর বেশ কিছু লিখিত অভিযোগও পাঠিয়েছি। অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ট্যারিফ নির্ধারণে আমাদের সংগঠন ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিইআরসি আমাদের মূল্যায়ন করলেও বিটিআরসি আমাদের কোনওভাবে মূল্যায়ন করেনি। এত বিশাল এ খাতে গ্রাহকদের কোনও প্রতিনিধি নাই। ফলে সিদ্ধান্তগুলোতে গ্রাহকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না।

বৈঠকে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট শাহেদা আক্তার, কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।