রবি’র মুনাফা বেড়েছে ১০ শতাংশ

 

রবির সংবাদ সম্মেলন
২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ বেশি  মুনাফা করেছে মোবাইল অপারেটর রবি। ২০১৯ সালে রবি’র কর পরবর্তী মুনাফার (পিএটি) পরিমাণ ১৭ কোটি টাকা। ওই বছর রবি’র মোট রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা । শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রবির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  এ তথ্য জানান রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি জমা ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা জমা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে মোট রাজস্ব ৭ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ইবিআইটিডিএ’র পরিমাণ ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা । মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ১৭ কোটি টাকা।

সরকার কর্তৃক করপোরেট কর ৪৫ শতাংশ ধার্য করা হলেও ২০১৯ সালে রবি’র কার্যকর করের পরিমাণ ছিল ৯০ শতাংশ। ন্যূনতম করহার দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ, সিম করের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ২০০ টাকা, স্মার্টফোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ, মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করায় কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান হয়।
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যখন দেখি এমএনপি সেবার মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তন করা প্রতি সাত জন গ্রাহকের মধ্যে পাঁচ জনই রবিতে আসছেন তখন আর সন্দেহের কোনও সুযোগ থাকে না যে আমরাই সেরা ডেটা সেবা প্রদান করছি।

মাহতাব উদ্দিন বলেন, এশিয়াজুড়ে আজিয়াটা অপারেটিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে এনালিটিকস ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ম্যাচিউরিটির ক্ষেত্রে সেরা অবস্থানে রয়েছে রবি। ডিজিটাল কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপেরই প্রতিফলন এই স্বীকৃতি।

সংবাদ সম্মলনে রবি জানায়, ২০১৯ সালে ২১ লাখ নতুন গ্রাহকসহ বর্তমানে রবি’র মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৯০ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ।

মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ। উদ্ভাবনী ও প্রতিযোগিতামূলক অফারের ফলে ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।