অনলাইন ব্যাংকিংয়ে যেসব কাজ করা যাবে না

অনলাইন ব্যাংকিং আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। জটিলতা ছাড়াই বিল পরিশোধ, অর্থ আদান-প্রদান এবং অন্যান্য লেনদেনে বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে ঝুঁকিও। অনলাইন ব্যাংকিং থেকে অর্থচুরির জন্য ‘ফিশিং’, ‘ভিশিং’ ও ‘স্কিমিং’ এর মতো পরিচিত কিছু টুল ব্যবহার করছে প্রতারকরা।

ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ বলছে, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সময় ব্যবহারকারীদের বেশকিছু কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি ছোট ছোট কিছু ভুলও এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলেই নিরাপদে লেনদেন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। দেখে নিন অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করলে যে কাজগুলো কখনোই করা যাবে না:

অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য কোনোভাবেই পাবলিক ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করা যাবে না। এসব সংযোগ সাধারণত অনিরাপদ। পাবলিক ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ডিভাইসে ক্ষতিকর কোনও সফটওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে। এর মাধ্যমে চুরি হতে পারে আপনার ব্যাংকিংয়ের সব তথ্য।

পাবলিক চার্জিং স্টেশনে কখনও নিজের ফোন চার্জ করবেন না। এতে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাবলিক চার্জিং স্টেশনে স্মার্টফোন চার্জ করলে জুস জ্যাকিং (তথ্য চুরির জন্য ইউএসবি ক্যাবলের ব্যবহার) এর শিকার হতে পারেন আপনি।

সহজেই পেয়ে যেতে গুগলে কখনও আপনার ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বর বা ব্যাংক সম্পর্কিত অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ নম্বর সার্চ করবেন না। এ ধরনের ভুল করলে প্রতারকদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাংক সম্পর্কিত কোনও তথ্য দরকার হলে সরাসরি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

কখনোই বিকল্প কোনও উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। সবসময় গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। আন-অফিসিয়াল উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে স্মার্টফোনে থাকা সব তথ্য হারানোর ঝুঁকি থাকে।

অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি আপডেটগুলো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এসব আপডেট সাইবার ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়। আপডেটে নিরাপত্তার জন্য যে সিস্টেম দেওয়া হয়, সেটি সহজে ভাঙতে পারে না হ্যাকাররা।