আইফোন ছেড়ে ব্যবহারকারীরা যে কারণে অ্যান্ড্রয়েডে

আভিজাত্য এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আইফোনের জুড়ি নেই। অপরদিকে ব্যবহারকারীবান্ধব হওয়ায় এবং দাম নাগালে থাকায় অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই দুই অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে ব্যবহারকারীরা এখন অ্যান্ড্রয়েডকেই বেছে নিচ্ছেন। আগের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীরা এখন গা ভাসাচ্ছেন অ্যান্ড্রয়েডের স্রোতে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান এমনটিই বলছে।

অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রালের বরাত দিয়ে ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ২৬ শতাংশ ব্যবহারকারী আইফোন ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করেছেন। অনলাইন ভিডিও গেম ‘ফোর্টনাইট’র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এপিক গেমসের’ সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে নিজেদের পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যাপল।

অ্যাপলের বাজার গবেষণা দলগুলোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের প্রতিটি ত্রৈমাসিকে আইফোন ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েডে আসা ব্যবহারকারীর সংখ্যায় ভিন্নতা ছিল। এ সময় আইওএস ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েডে আসা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৯, ১৪, ২৬, ২৬ এবং ১২ শতাংশ।

আইফোন ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনে আসার অন্যতম কারণ হলো দামের পার্থক্য। আইফোন কিনতে যে অর্থ খরচ করতে হয়, তার চেয়ে অনেক কম অর্থ ব্যয় করেই ‘ভালো মানের’ অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনা যায়। এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অনেকে তুলনামূলক কমদামি ফোন হিসেবে আইফোনের পরিবর্তে অ্যান্ড্রয়েড বেছে নিয়েছেন।

আইফোন ছেড়ে যাওয়ার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নতুন আইফোন-১২ সিরিজ উন্মোচিত হওয়ার আগে। ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোন হলো আইফোন-১২। অ্যাপলের আয়ের একটি বড় অংশ আসে এই আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত, অ্যাপলের নীতিমালাকে প্রতিযোগিতাবিরোধী এবং অনৈতিক উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে ‘এপিক গেমস’। অ্যাপলকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব পেমেন্ট সিস্টেম চালু করায় অ্যাপ স্টোর থেকে ‘ফোর্টনাইট’ গেমটিকে বের করে দেওয়া হয়। নিজস্ব পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার অর্থ হলো— অ্যাপলকে কমিশন দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া।

‘এপিক গেমসের’ এমন কার্যক্রম অ্যাপলের নীতিবিরুদ্ধ হওয়ায় অ্যাপ স্টোর থেকে ‘ফোর্টনাইট’ গেমটি বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল বলছে, তাদের নীতি একচেটিয়া বাজারকে সমর্থন করে না। অ্যাপলে প্রতিযোগিতার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলেও দাবি তাদের।