অপরাধের গুরুত্ব বুঝে শাস্তির বিধান: আইনমন্ত্রী

বাতিল হচ্ছে ৫৭ ধারা?

৫৭ ধারাডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে শাস্তি নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, সর্বোচ্চ ১৪ বছর সাজার বিধান রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬ প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সর্বনিম্ন শাস্তি কী হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান।
রবিবার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এ আইনের খসড়া নিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আনিসুল হক আরও জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬ পাস হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ ধারা বাদ দেওয়া হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো স্পষ্ট করা হবে। এ কারণে ৫৭ ধারা নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তা আর থাকবে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ৫৭ ধারা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে একটি শঙ্কা আছে বলে আমি জানি। নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন হলে তা থাকবে না আশা করি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, হাল আমলে সাইবার অপরাধ সবচেয়ে আলোচিত। তবে অনলাইন এবং অফলাইন অপরাধের মধ্যে বিরাট একটা ফারাক রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পলক আরও বলেন, অনলাইনে একটি অপরাধ সংঘটিত হলে তার প্রভাব অনেক বেশি, প্রচারও বেশি। অফলাইনে সেটা কম। তিনি উল্লেখ করেন, ‘একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে এখন আর অ্যাটম বোমা হামলার প্রয়োজন নেই। সাইবার আক্রমণ করে পুরো একটি রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এ কারণে আইনটি করা হচ্ছে।’

 

/এইচএএইচ/এফএ/